দিল্লি-উত্তরপ্রদেশে হাইঅ্যালার্ট! আইএস জঙ্গি গ্রেফতারির পর সিল একাধিক জায়গা, জারি তল্লাশি
বড়সড় নাশকতার ছক রাজধানীতে? স্বাধীনতা দিবসের এক সপ্তাহর মধ্যেই আইএসআইএস জঙ্গি আবু ইউসুফের গ্রেফতারি, পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই, বিস্ফোরক উদ্ধার, আরও কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে থাকার আশঙ্কায় এই সম্ভাবনা তৈরি হল দিল্লিতে। আর এর জেরেই দিল্লি সহ উত্তরপ্রদেশেও জারি হয়েছে রেড অ্যালার্ট।
বিস্ফোরকসহ দিল্লিতে গ্রেফতার জঙ্গি
এদিন সকালে বিস্ফোরকসহ দিল্লিতে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযুক্ত আবু ইউসুফ। সে ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন আইএস-র সক্রিয় সদস্য বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। তার কাছ থেকে ১৫ কেজি আইইডি সহ স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। দিল্লির ধৌলা কুয়াঁ এবং কারোল বাগ সংযোগস্থলে জঙ্গি ইউসুফের গুলি সংঘর্ষ হয়। তারপর তাকে গ্রেপ্তার করে।
উত্তরপ্রদেশের জঙ্গি দমন শাখার আধিকারিকরা দিল্লিতে
ধৃত জঙ্গি আবু ইউসুফ উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরের বাসিন্দা ছিল এককালে। এই ঘটনার পরই তাই উত্তরপ্রদেশের জঙ্গি দমন শাখার আধিকারিকরা দিল্লিতে পৌঁছেছেন। গ্রেফতারির পর ইউসুফকে পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে তোলা হয়েছে। ঠিক কী কারণে ইউসুফ দিল্লির রাস্তায় বিস্ফোরক সহ ঘোরাঘুরি করছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় শুরু হয়েছে তল্লাশি। কয়েকটি জায়গা সিল করা হয়েছে।
পুলিশের জালে আইএস জঙ্গি
দিল্লি পুলিশের কাছে খবর ছিল। সেই অনুযায়ী ধৌলা কুয়াঁয় ফাঁদ পাতে তারা। প্রথমে ওই আবু ইউসুফকে সতর্ক করে পুলিশ। তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলে। কিন্তু সে সেই কথা শোনেনি। পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষায় পালটা গুলি ছোড়ে পুলিশও। শেষ পর্যন্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
হামলা চালানোর ক্ষেত্রে আইএস জঙ্গি সংগঠনের নতুন পন্থা
নাশকতা-হামলা চালানোর ক্ষেত্রে আইএস জঙ্গি সংগঠন এক নতুন পন্থার সূচনা করেছিল কয়েকবছর আগে থেকে। আগে জঙ্গিদের একটি দল হামলা চালাত। কিন্তু আইএস জঙ্গি সংগঠনটি প্রথম এক ব্যক্তি দ্বারা হামলা চালু করে। অর্থাৎ সংগঠনের একজন সদস্যই একটা এলাকায় নাশকতা চালাবে। বিস্ফোরণ ঘটাবে। গুলি চালাবে। শেষে সে নিজেকে উড়িয়ে দেবে অথবা নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে প্রাণ হারাবে।
ভিআইপিদের নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে
যেভাবে আবু ইউসুফ একা দিল্লির রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছে, তাতে বছর কয়েক আগে নিউজিল্যান্ড ও লন্ডনের মতো হামলার ঘটনার কথাই মনে করিয়ে দিল। ইউসুফের গ্রেফতারির পরেই দিল্লির প্রতিটি স্পর্শকাতর এলাকা- সংসদ ভবন, সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ভিআইপিদের নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে বলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর।