মুম্বই-থানেতে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস! ভারতের অন্য অংশে মৌসুমী বায়ু প্রভাব কী, জেনে নিন
আগামি দু-দিনের জন্য মুম্বই ও থানেতে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কেরল ও লাক্ষাদ্বীপ ছাড়াও কোঙ্কন ও গোয়া উপকূলের মৎস্যজাবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ব্যাপারেরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আগামি দু-দিনের জন্য মুম্বই ও থানেতে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কেরল ও লাক্ষাদ্বীপ ছাড়াও কোঙ্কন ও গোয়া উপকূলের মৎস্যজাবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ব্যাপারেরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ৭ জুন থেকে ১২ জুনের জন্য এই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে।
আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আরব সাগরের আরও বিস্তীর্ণ অংশ, উপকূল কর্ণাটকের বাকি অংশ, দক্ষিণ কর্ণাটক, গোয়া এবং উত্তর কর্ণাটকের কিছু অংশের দিকে অগ্রসর হয়েছে।
উপকূল মহারাষ্ট্র ও গোয়ায় প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। রত্নাগিরি, সিন্ধুদূর্গ, মুম্বই, থানে, রায়গড় এবং পালঘরে ৯ জুন নাগাদ অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। একই ধরনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে মুম্বই-সহ কোঙ্কন এলাকার ছটি জেলা এবং আশপাশের অংশে। ১০ ও ১১ জুনের জন্য এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আগামি ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু অগ্রসর হওয়ার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি আরব সাগরের মধ্যবর্তী অংশ, গোয়ার কিছু অংশ, দক্ষিণ মহারাষ্ট্রের কিছু অংশ, কর্ণাটক এবং রায়ালসীমার বাকি অংশ, তেলেঙ্গানার কিছু অংশ, উপকূল অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের কিছু অংশে।
উপগ্রহ চিত্রে ভারতের ওপর মৌসুমী বায়ুর অবস্থান
এরই মধ্যে বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে লখনৌ-সহ উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন অংশে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার লখনৌ, হারদৈ, সীতাপুর, বরাবাঁকি, উন্নাও এবং আশপাশের অংশে বজ্র-বিদ্যুৎ-সব বৃষ্টি হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলের বৃষ্টিতে মুম্বইয়ের স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। সান্তাক্রুজে ৩৯ মিমি এবং কোলাবায় ২৭.৬ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের দেওয়া ৮ জুনের উপগ্রহ চিত্র
মুম্বই এবং আশপাশের বাসিন্দাদের জন্য জরুরি প্রয়োজনে দুটি নম্বর চালু করা হয়েছে। সেগুলি হল মুম্বইয়ের জন্য ১৯১৬ এবং বাইরের বাসিন্দাদের জন্য ১০৭৭।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই বর্ষায় ভারতের মধ্যবর্তী অংশে বৃষ্টি স্বাভাবিক হবে। কিন্তু কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কেরল এবং পণ্ডিচেরীতে স্বাভাবিকের তুলনায় কম বৃষ্টি হবে।
এই সময়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে বৃষ্টিপাতও স্বাভাবিকের থেকে কম হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
দেশ জুড়ে জুলাইয়ে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে ১০১ শতাংশ। অন্যদিকে অগাস্ট মাসের জন্য ৯৪ শতাংশ। তবে উভয় ক্ষেত্রেই গড় ৯ শতাংশ কম বিংবা বেশি হতে পারে।
এই গড় ৯০ থেকে ৯৬ শতাংশের মধ্যে হলে তাকে স্বাভাবিকের থেকে নিচে বলেই ধরা হয়। অন্যদিকে ৯৬ থেকে ১০৪ শতাংশ হলে তা স্বাভাবিক বলে ধরা হয়।
বৃষ্টিপাত যদি গড়ের ৯০ শতাংশের কম হয়, তাহলে তাকে ঘাটতি বলে ধরে নেওয়া হয়। অন্যদিকে তা যদি ১০৪ থেকে ১১০ শতাংশ হয় তাহলে তাকে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বলে ধরা হয়। আর কোনও কারণে তা যদি ১১০ শতাংশের বেশি হয়, তাহলে তাকে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত বলে ধরা হয়।