২০১৬ সালের বিক্ষোভ মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ড গুজরাতের দলিত বিধায়ক জিগনেশ মেভানির
২০১৬ সালে একটি বিক্ষোভ মামলায় গুজরাতের বিধায়ক জিগনেশ মেভানির ছয় মাসের কারাদণ্ড
আহমেদাবাদের একটি আদালত গুজরাতের বিধায়ক তথা দলিত নেতা জিগনেশ মেভানিতে ২০১৬ সালে বেআইনি ক্ষোভ দেখানোর জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছে। তাঁকে আদালত ছয় মাসের কারদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দাঙ্গা ও বেআইনি সমাবেশের অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনায় জিগনেশ ছাড়াও আরও ১৮ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সামনেই গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচন। তাঁর আগে এই রায়ে জিগনেশ মেভানিক নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
জিগনেশ মেভানি কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দেননি এখনও। দলের বিধায়ক পদ হারাতে যাতে না হয়, সেই কারণেই তিনি এখনও কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেননি। তবে আদালতের রায়ের জেরে কিছুটা অস্বস্তিতে জিগনেশ মেভানি। চলতি বছর গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে ইতিমধ্যে জোর কদমে প্রচার শুরু করেছেন জিগনেশ। তারমধ্যে আদালতের রায়ে তিনি আদৌ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কি না, সেই নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে জিগনেশ মেভানি হামলার শিকার হন। আহমেদাবাদে একটি জনসভায় প্রচারের সময় জিগনেশ মেভানির ওপর হামলা হয়। টুইট করে জিগনেশ অভিযোগ করেছেন, গুজরাতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী প্রদীপ সিংহ জাদেজার গুণ্ডারা তাঁর ওপর হামলা করেছে। জানা গিয়েছে, হামলার সময় কংগ্রেস নেতা জিগনেশ মেভানি এবং তফসিলি জাতি বিভাগের চেয়ারম্যান হিতেন্দ্র পিথাদিয়া আহমেদাবাদের ভাস্ট্রালের নর্মদা অ্যাপার্টমেন্টে একটি বৈঠকের জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন।
গুজরাত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছে। ২০১৬ সালে গুজরাত ইউনিভার্সিটির একটি নির্মিয়মাণ ভবনের নাম ডাঃ বি আর আম্বেদকরের দাবিতে একটি দল বিক্ষোভ দেখান। সেই দলটি জিগনেশও ছিলেন। পুলিশ বেআইনিভাবে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেফতার করেছিল। একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের ছয় মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়।
চলতি বছরের মে মাসে গুজরাতের একটি আদালত ২০১৭ সালের একটি মামলায় জিগনেশ মেভানিকে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে বিনা অনুমতিতে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ করার অভিযোগ ছিল। অন্যদিকে, চলতি বছরের এপ্রিল মাস অসম পুলিশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করার অভিযোগে এবং একটি শ্লীলতাহানি অভিযোগে গ্রেফতার করে। যদি আদালতে মামলা দুটি টেকেনি। আদালতে ভুয়ো মামলা বলে অভিহিত করা হয় জিগনেশ মেভানি দুটো মামলাতেই জামিন পেয়ে যান। প্রকাশ্যে জিগনেশ মেভানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। দলিত নেতা হিসেবে গুজরাতে ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছেন জিগনেশ মেভানি। যা গেরুয়া শিবিরের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।