গোয়ায় খাতা খুলতে পারল না তৃণমূল! বিধানসভা নির্বাচনে আপের পিছনে মমতার দল
গোয়ায় খাতা খুলতে পারল না তৃণমূল! বিধানসভা নির্বাচনে আপের পিছনে মমতার দল
প্রস্তুতিটা শুরু হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) জয়ের পরে। তবে ২০২১-এর সেপ্টেম্বর থেকে গোয়ায় (Goa) তৃণমূলের (Trinamool Congress) সক্রিয়তা সামনে আসে। সেই সময়ই তৃণমূলে যোগ দিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে যান কংগ্রেসের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনো ফেলেইরো। তারপর ব্যয়বহুল প্রচার। যদিও শেষ পর্যন্ত তারা সেখানে খাতা পুলতে পারল না।
গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফল
বৃহস্পতিবার দুপুরে এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, গোয়ার ৪০ টি আসনের মধ্যে আপ ২ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ৫ টিতে জয়লাভ করেছে আর ১৫ টিতে এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস ৩ টিতে জয়লাভ করেছেন আর ৮ টিতে এগিয়ে রয়েছে। নির্দলীয়রা ২ টি আসনে জয়লাভ করেছে আর ১ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। আর স্থানীয় দলগুলির মধ্যে গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি ১ টি আসনে, তৃণমূল সঙ্গী মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি ২ টি আসনে এহং রিভলিউশনারি গোয়ানস পার্টি একটি আসনে এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু তৃণমূল সেখানে একটি আসনও দখল করতে পারেনি।
শতাংশের নিরিখে অবস্থান
এবারে গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনে শতাংশের নিরিখে বিজেপি সব থেকে বেশি ৩৩.৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। তারপরেই রয়েছে কংগ্রেস। তারা ২৩.৩৩ শতাংশ ভোট পয়েছে। তারপরেই রয়েছে তৃণমূলের জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি। তারা ৭.৭০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এরপর রয়েছে আপ, তারা ৬.৭৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে। প্রাপ্ত ভোটের শতাংশের নিরিখে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ৫.২৩ শতাংশ। এর বাইরে গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি, এনসিপি এবং নোটায় যথাক্রমে ১.৮১%, ১.০৭%, ১.১২% ভোট পড়েছে। অন্যরা পেয়েছে ১৯.৩৬% ভোট।
গোয়ায় তৃণমূল এগোতে পারেনি
ভোটের মাস তিনেক আগে যখন তৃণমূল গোয়ায় প্রস্তুতি শুরু করেছিল, সেই সময়েই বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন গোয়ায় তৃণমূল পঞ্চম স্থানে থেকে শুরু করেছে। জাতীয় কিংবা রাজ্য সড়কের ধারে বড় হোর্ডিং টানিয়ে তৃণমূল গোয়াঞ্চি নবি সকালের স্লোগান তুলেছিল। মহিলাদের ৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে থেকে প্রচারের জন্য প্রচুর মানুষকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও করেছিল বিজেপি। তবে প্রচুর চেষ্টা করেও প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে তৃণমূল ৫ শতাংশের ওপরে উঠলেও, রাজনৈতিকভাবে সেখানে প্রভাব ফেলতে পারেনি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দৌড় শেষ আপের পরে
গোয়ায় প্রচারে গিয়ে তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ ছিল, কংগ্রেসই বিজেপিকে সুযোগ করে দিচ্ছে। পাল্টা কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছিল তৃণমূল এবং আপের মতো দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজেপিকে গোয়ায় সুবিধা করে দিচ্ছে। গোয়ার ভোটের ফলে তা সত্যি বলেই প্রমাণিত হল। যেখানে বিজেপি ও কংগ্রেসের ভোট যথাক্রমে ৩৩.৪০% এবং ২৩.৩৩%, সেখানে আপ ও তৃণমূলের ভোট যথাক্রমে ৬.৭৮% এবং ৫.২৩ %। এবারের মতো গোয়া পঞ্চমস্থানে আপের পিছনে থেকেই লড়াই শেষ করতে হল তৃণমূলকে। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে এক রাজ্যে চ্যালেঞ্জ নিয়ে ব্যর্থ হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।