সোনা নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি থাকলেই জরিমানা!কেন্দ্রের নয়া প্রস্তাবিত 'স্কিম' ঘিরে কোন কোন তথ্য় উঠছে
গত অগাস্ট মাস থেকে বিশ্ব বাজারের সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরেও সোনার দাম ক্রমেই লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। চিন ও মার্কিন দুটি দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লড়াইয়ের জেরে সোনার দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকে।
গত অগাস্ট মাস থেকে বিশ্ব বাজারের সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরেও সোনার দাম ক্রমেই লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। চিন ও মার্কিন দুটি দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লড়াইয়ের জেরে সোনার দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকে। ভারতের বাজারেও বাড়তে থাক সোনার দাম। এমন এক পরিস্থিতিতে এবার কেন্দ্রের তরফে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে সোনা সংক্রান্ত একটি নতুন 'অ্যামনেস্টি স্কিম' এর। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, সেঅ স্কিমে কী কী থাকতে পারে।
সোনার পরিমাও ও জরিমানা
সোনা বিষয়ক 'অ্যামনেস্টি স্কিম' এর প্রস্তাবনায় , ধার্য করা হয়েছে সোনার বিশেষ একটি পরিমাণ। সেই পরিমাণের অধিক সোনা যাঁর কাছে থাকবে তাঁকে 'জরিমানা' দিতে হবে। এক সর্বভারতীয় দৈনিককে এমনই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তবে স্কিম সম্পর্কে বিশেষ আর কোনও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
কেন এমন করা হচ্ছে?
মূলত, সোনায় বিনিয়োগ করে অনেকেই কালো টাকা মজুত করে রাখে। সেই কালো টাকার হদিশ পেতেই সোনার ওপর এমন স্কিম চালু করছে সরকার। এরফলে সরকারের কাছে দেশের মজুত সোনা নিয়ে সমস্ত রকমের তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
'বিল' ছাড়া সোনা সরকারের কাছে পেশ করতে হবে
সরকারের এই নয়া স্কিমের আওতায় বিল ছাড়া যে সমস্ত সোনার গয়না কেন হয়েছে, বা সোনার গয়না রয়েছে, সেই সোনার পরিমাণও সরকারের কাছে একজন ব্যক্তিকে জানাতে হবে। এমনই প্রস্তাবনা রয়েছে ওই সোনা বিষয়ক স্কিমে।
কর নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত
নয়া স্কিমের আওতায় চালু থাকবে করের ব্যবস্থাও। সোনার দামে কতটা কর দিতে হবে, তাও এই নতুন প্রস্তাবিত স্কিমেই ধার্য করে দেওয়া হবে। এণনই সমস্ত তথ্য উঠে আসছে নতুন সরকারী স্কিম ঘিরে।
বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে ছাড়!
জানা গিয়েছে, যে সমস্ত মহিলারা বিবাহিত তাঁদের ক্ষেত্রে সোনা গচ্ছিত যা রয়েছে,সেই পরিমাণে খনিকটা ছাড় দেওয়া হবে। তবে বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রেও সোনা রাখার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ স্থির করে দেবে কেন্দ্র। সেই পরিমাণের বেশি সোনা বিবাহিত মহিলাদের কাছে থাকলেই এই স্কিমের আওতায় আসতে পারেন তাঁরা।
লকারে রাখা সোনা থেকে মিলছে না 'উৎপাদনী আয়'!
সোনা ভারতীয়দের কাছে একটি বড় আবেগের বিষয়।অন্যদিকে, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ভারত প্রতিবছর ৯০০ টন সোনা আমদানি করে। যাতে বার্ষিক ২৫০,০০০কোটি টাকা খরচ হয় দেশের। এদিকে, লকারে যে সমস্ত সোনা গচ্ছিত রয়েছে, সেখান থেকে ভারতের কাছে কোনও আয়ই আসে না। সেই আয় বাড়াতেই লকারের সোনার পরিমাণেও এবার নজর রাখছে সরকার। যাতে সেখান থেকেও আসে ' বিনিয়োগ' তথা 'উৎপাদনী আয়'।