নেশা মুক্তির সেরা সময় হতে পারে লকডাউনই, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
৩রা মে'র পরেও, মেয়াদ বাড়ল লকডাউনের। এই তৃতীয় দফার লকডাউনে কেন্দ্রীয় সরকার স্থায়ীভাবে মদ ও তামাক জাতীয় পদার্থের বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। সামাজিক দূরত্ব সুনিশ্চিত করতেই সরকারের এই উদ্যোগ। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই লকডাউনকে তামাক ব্যবহারকারীদের নেশা ছাড়ার সুবর্ণ সময় বলেই মনে করছেন।
দৈনিক তামাক ব্যবহারকারীরা পড়েছেন মহা বিপদে। একেই সরকার থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সমস্ত তামাকজাত পণ্যর বিক্রি,যদিও বা পুরোনো স্টক থেকে থাকে তাও সিগারেট বিড়ি বিকোচ্ছে চড়া দামে। ধূমপানে অভ্যস্ত ব্যক্তিরা কার্যত সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন।
অথচ কোটা মেডিকেল কলেজের সিনিয়র ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাঃ আর কে জৈন অবশ্য বলেন, "চলমান লকডাউন, এবং তামাকজাত দ্রব্য না পাওয়া তামাক আসক্তদের নেশা মুক্তির জন্য এক সুবর্ণ সুযোগ হতে পারে"। তিনি আরও বলেন, ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত পণ্য যেমন পান মশলা এবং সুপারি চিবিয়ে খাওয়ার ফলে লালা উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং অসচেতন ব্যক্তিরা যেখানে সেখানে থুথু ফেলেন। এই থুথু কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বাড়াতে পারে।
ডাঃ আর কে জৈন আরও বলেন, "সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া দেশের মত ভারতেও তামাকজাত পণ্যের বিষয়ে সরকারের পরামর্শকে কঠোরভাবে প্রয়োগ করা উচিত এবং লঙ্ঘনকারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিৎ।" শোনা যাচ্ছে, তৃতীয় দফার লকডাউনে মদ গুটকা তামাকজাত দ্রব্য ইত্যাদি বিক্রি নিষিদ্ধ থাকার পাশাপাশি তামাক বা গুটকা খেয়ে রাস্তাঘাটে থুতু ফেললেও কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে।