দিল্লি রায় নিয়ে বিশেষজ্ঞ মত : কিরণ বেদীকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা বিজেপির বড় ভুল
নয়াদিল্লি, ১০ ফেব্রুয়ারি : চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগেই দিল্লির চিত্রটি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। আর যা আদতেই বিজেপির জন্য সুখকর নয়। কিরণ বেদী ফাটকাও যে কাজে আসেনি তাও হাড়ে হাড়ে পরিষ্কার। বরং বিশেষজ্ঞদের মতে বিজেপির এই বিষম হারের অন্যতম কারণ কিরণ বেদীই।
আরও পড়ুন: দিল্লির ভোট আপের পক্ষে, তবে বিজেপির বিরোধিতায় নয় , দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন ফলের সম্পূর্ণ আপডেট
অকল্পনীয় ব্যবধানে জিতছে আম আদমি পার্টি। এখন কীভাবে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার চালান তা অবশ্যই এখন একটি বড় প্রশ্ন। কিন্তু কিছু ভাল বিষয় রয়েছে যা আপ এবং নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল করেছিলেন। তারই ফল এই অভাবনীয় ফল।
ওয়ানইন্ডিয়া দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের রায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। দেখুন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
কেন বিজেপিকে এত বড় হারের সম্মুখীন হতে হল?
ডঃ সন্দীপ শাস্ত্রী, প্রখ্যাত জনমত সমীক্ষকের কথায়, বিজেপি নিজেদের নির্বাচনী প্রচারে হয় খুব নেতিবাচক ছিল, আর নয়তো খুব প্রতিরক্ষামূলক ছিল। নির্বাচনী প্রচার স্তরেই দিল্লির ম্যাচ বিজেপির হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল।
কিরণ বেদী কি বিজেপির বড় ভুল ছিল?
ডঃ শাস্ত্রীর কথায়, "হ্যাঁ কিরণ বেদীকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করাটা বিজেপির প্রতিরক্ষামূলক এবং প্রতিক্রিয়াশীল প্রচারেরই অঙ্গ। কিরণের অবদান শুধু দলের অভ্যন্তরেই বিভেদ সৃষ্টি করাটা।"
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দিক থেকে সাধারণ মানুষের নজর নিজের দিকে টানতে অসমর্থ হয়েছেন কিরণ বেদী। আর কোনওভাবেই বিজেপির জন্য ভোট বাড়াতে পারেননি কিরণ। সবথেকে বড় ভুল কিরণ বেদীকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা। বলছেন ডঃ শাস্ত্রী।
কোন বিষয়টা কেজরিওয়ালের পক্ষে গিয়েছে?
নিজের নির্বাচনী প্রচারের পরিকল্পনায় সম্পূর্ণ বদল এনেছিলেন কেজরিওয়াল। তার গোটা প্রচারে তিনি অপেক্ষাকৃত কম আক্রমণাত্মক ছিলেন। যা তাঁর ও তাঁর দলের পক্ষে খুব ভালভাবে কাজ করেছে।
সবচেয়ে বড় কথা, নিজের "ভাগোড়া" ইমেজ মানুষের মন থেকে সরাতে সফল হয়েছেন কেজরিওয়াল। নিজের ভুল স্বীকার করা, ক্ষমা চাওয়া যা ভারতীয় রাজনীতিতে সেভাবে দেখা যায় না, আর সেটা কেজরিওয়াল ভাল ভাবে ব্যবহার করেছেন। যা হওয়ার তাই হয়েছে। মানুষ অরাজনৈতিক নেতা কেজরিওয়ালকে প্রথমবারের ভুলের জন্য ক্ষমা করে দিয়েছেন।
বিহার নির্বাচনে কী এই দিল্লি রায়ের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে?
বিহার সম্পূর্ণ আলাদা। বিহারে লড়াইটা বিজেপি এবং আঞ্চলিক শক্তিশালী দলগুলির সঙ্গে। তবে একটা জিনিস এক্ষেত্রেও একই থাকবে, তা হল কংগ্রেস এখানেও ছবিতেই থাকবে না।