মধ্যবিত্তের হেঁসেলে আগুন ধরিয়ে আরও বাড়বে গ্যাসের দাম, বাড়বে পেট্রোল-ডিজেলের দামও! কিন্তু কেন?
আগামিদিনে আরও দাম বাড়তে চলেছে এলপিজি সিলিন্ডারের (LPG cylinder price)। শুধু তাই নয়, দাম বাড়বে পেট্রোল এবং ডিজেলেরও। এই মাসের শুরুতেই এক ধাক্কাতে অনেকটাই বাড়ে এলপিজি গ্যাসের দাম। কিন্তু গত কয়েকদিন পেট্রল এবং ডিজেলের দাম অ
আগামিদিনে আরও দাম বাড়তে চলেছে এলপিজি সিলিন্ডারের (LPG cylinder price)। শুধু তাই নয়, দাম বাড়বে পেট্রোল এবং ডিজেলেরও। এই মাসের শুরুতেই এক ধাক্কাতে অনেকটাই বাড়ে এলপিজি গ্যাসের দাম।
কিন্তু গত কয়েকদিন পেট্রল এবং ডিজেলের দাম অনেকটাই এক জায়গাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে সম্প্রতি খুব শীঘ্রই ফের একবার দাম বাড়তে চলেছে জ্বালানির। এমনকি দাম বাড়বে এলপিজি সিলিন্ডারেরও।
কারণ হঠাত করেই বিশ্ব বাজারে ক্রুড ওয়েলের দাম নতুন করে বাড়তে চলেছে। গত চারদিন ধরে ক্রুড ওয়েলের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। এই বৃদ্ধি গত তিন বছরের মধ্যে রেকর্ড বলছে অর্থনৈতিক কারবারীরা।
কত দাম কুরড ওয়েলের
এই মুহূর্তে বিশ্ববাজারে ক্রুড ওয়েলের দাম প্রতি ব্যারল ৭৭ ডলার চলছে। একদিন আগেই এই দাম 77.65 ডলার ছিল। ক্রুড ওয়েলের যদি ট্রেন্ডিং দেখা যায় তাহলে অক্টোবর ২০১৮ সালের পর সবথেকে বেশি বৃদ্ধি। মনে রাখাতে হবে ২০১৮ সালে কিন্তু বিশ্বের কোথাও করোনা মহামারীর ছিটিফোটা পর্যন্ত ছিল না। তখন থেকে তেলের দাম অস্বাভাবিক গতিতে বেড়েছে। কিন্তু আজকের তারিখে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু এরপরেও ক্রমশ দাম বাড়তে থাকছে।
তিন গুণ পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি হয়েছিল
২০১৯ সালে করোনা পরিস্থিতিতে ক্রুড ওয়েলের চাহিদা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গিয়েছিল। সেই সময়ে অর্থাৎ ২০১৯ সালে ক্রুড ওয়েলের দাম ২৫ ডলার প্রতি ব্যারোল হিসাবে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু আজকের তারিখে এই দাম তিনগুন গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর হু হু করে দাম বৃদ্ধির বড় একটা প্রভাব ভারতের উপর এসে পড়বে বলেই মনে করছেন অর্থনীতির কারবারীরা। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তেল কিনতে হয়। বিশ্ববাজারে ক্রুড ওয়েলের দামে বড় প্রভাব পড়লে ভারতেও পেট্রল-ডিজেলের দাম ওঠানামা করতে থাকে। এমনকি এরপ্রভাব গ্যাসের উপরেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। কারণ ভারতকে গ্যাসও আমদানি করতে হয়।
কোথাও পৌঁছে গিয়েছে দাম
Reuters এর এক রিপোর্টকে মোতাবেক, গোটা বিশ্বেই ক্রুড ওয়েলের চাহিদা বাড়ছে। আর এভাবে চাহিদা বাড়ার কারনে ক্রুড ওয়েলের দামেও প্রভাব পড়ছে। প্রত্যেদকদিন বাড়ছে দাম।
PPAC এবং investing.com এর একটি তথ্য বলছে, ১লা জানুয়ারি ২০২১ সালে ক্রুড ওয়েলের দাম 51.09 প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে এর দাম 77.38 ডলার হয়ে গিয়েছে। মাত্র চার মাসের মধ্যে কাঁচা তেল অর্থাৎ ক্রুড ওয়েলের দাম ৫১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি।
সেই হিসাব মতো PPAC এবং investing.com এর তালিকা বলছে ১ জানুয়ারি ২০২১ পেট্রোলের দাম 88.71 প্রতি লিটার ছিল। সেই ভাবেই ২৩ সেপ্টেম্বর এই দাম ১০১ টাকাও ছাড়িয়ে গিয়েছে। এক ধাক্কায় প্রায় পেট্রোলের প্রায় ২১ শতাংশ দাম বৃদ্ধি হয়েছে। একই ভাবে ডিজেলেও বেড়েছে দাম।
ফলে এই ট্রেন্ড থেকে অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, আগামিদিনে ক্রুড ওয়েলের দাম আরও বাড়তে থাকলে পেট্রোল-ডিজেলের দামও বাড়বে।
LPG cylinder এর দামেও মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে
রান্নার গ্যাসের ক্ষেত্রেও একই প্রভাব পড়ছে। বিজনেস ইনসাইডারের একটি রিসার্চ বলছে, বিশ্ব বাজারে রান্নার গ্যাসের দামেও মূল্যবৃদ্ধির আঁচ পাওয়া গিয়েছে। আগামী মাসেও আরও একবার দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ৭০ শতাংশ দাম বৃদ্ধি হতে পারে বলে আশঙ্কা। এই অবস্থায় দাম বেঁধে রাখাই চ্যালেঞ্জ সরকারের কাছে। এমনটাই মত অর্থনৈতিক কারবারিদের কাছে।