করোনা মহামারির প্রভাব, উবারের পর এবার ওলা ১৪০০ কর্মী ছাঁটাই করল
করোনা মহামারির প্রভাব, উবারের পর এবার ওলা ১৪০০ কর্মী ছাঁটাই করল
জোম্যাটো ও সুইগির পর ক্যাব সংস্থাগুলি কর্মী ছাঁটাইয়েপ পথে হাঁটতে শুরু করল। ওলা ক্যাব ১৪০০ কর্মীকে ছাঁটাই করল বলে জানা গিয়েছে। গত দু’মাসে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও খাদ্য সংক্রান্ত ব্যবগুলি এই করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে ৯৫ শতাংশ আয় কমে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ওলা সিইও ভাবিশ আগরওয়াল।
করোনার প্রভাবের ফলেই ১৪০০ কর্মী ছাঁটাই
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৫ মার্চ থেকে দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে চারবার। এর ফলে থমকে গিয়েছে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ। তার প্রভাব পড়েছে অ্যাপ ক্যাব সংস্থা ওলার ওপরেও। কর্মীদের এক ই-মেল মারফত আগরওয়াল স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে ব্যবসায়ের জন্য অগ্রগতি খুব অস্পষ্ট এবং অনিশ্চিত এবং এই সঙ্কটের প্রভাব অবশ্যই দীর্ঘকালীন হতে চলেছে। তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এই ভাইরাসের প্রভাব খুবই জোরালো ভাবে পড়েছিল। গত দু'মাসে আমাদের আয় কমে গিয়েছে ৯৫ শতাংশ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল এই সঙ্কটের প্রভাব পড়েছে দেশ ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ লক্ষ চালকের জীবিকা ও তাঁদের পরিবারের ওপর।'
এই ছাঁটাইয়ের পর আর কোনও কোভিড সংক্রান্ত ছাঁটাই হবে না
আগরওয়াল জানান, ওলা সংস্থাটি ১,৪০০ কর্মচারীকে কমাতে এবং ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি জানান, এটা এককালীনের জন্য হবে এবং ভারতে চলমান ব্যবসার ক্ষেত্রে তা আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সম্পূর্ণ করে দেওয়া হবে। এরপর আগামী সপ্তাহ থেকে ওলা ফুড ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোভিড সংক্রান্ত কোনও ছাঁটাই করা হবে না। আগরওয়াল বর্ণনা করে জানান যে বহু সংস্থাই চাইছে তাদের কর্মীরা বাড়িতে বসে কাজ করুক, জরুরি কাজ ছাড়া বিমানে সফর সীমিত করে দেওয়া হয়েছে এবং ছুটির সময় বাইরে সময় কাটানো এখন চিন্তার বাইরে। তিনি বলেন, ‘এই সঙ্কটের প্রভাব আমাদের সঙ্গে দীর্ঘরাস্তা অতিক্রম করবে। বিশ্বে শীঘ্রই প্রাক-কোভিড যুগ যে কোনও সময় ফেরার কোনও সম্ভাবনা নেই। সামাজিক দুরত্ব, আতঙ্ক এবং প্রচুর সাবধানতা অবলম্বন এখন এটাই সবার নীতি।'
উবার, জোম্যাটো ও সুইগিতেও ছাঁটাই
বেশ কিছু সপ্তাহ ধরে উবার, জোম্যাটো ও সুইগির মতো টেক ভিত্তিক ব্যবসাগুলিতে ছাঁটাই করা শুরু হয়েছে। কোভিড-১৯-এর জেরে ব্যবসা একেবারে মন্দা হয়ে গিয়েছে এবং চাহিদাও কমে গিয়েছে। জোম্যাটো তাদের ১৩ শতাংশ অর্থাৎ ৪০০০ জন কর্মী ছাঁটাই করেছে এবং সুইগি ছাঁটাই করেছে ১,১০০ জন। উবার গোটা বিশ্ব জুড়ে ৩ হাজার জনকে ছাঁটাই করেছে। যদিও ভারতে কোনও প্রভাব পড়েনি। গত বছর ওলা কর্মক্ষমতা বাড়াতে ৪,৫০০ জনকে নিয়োগের পাশাপাশি সাড়ে তিনশো জনকে ছাঁটাই করেছিল। আগরওয়াল তাঁর মেইলে জানিয়েছেন যে এই সঙ্কটের সময় অর্থ সংরক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে যাতে ভবিষ্যতে তা বিনিয়োগ করার সুযোগ আসে।
তিন মাসের বেতন দেওয়া হবে কর্মীদের
আগরওয়াল জানিয়েছেন ছাঁটাই কর্মীদের হাতে তিনমাসের বেতন তুলে দেওয়া হবে এবং সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন তাঁরা। গত মঙ্গলবার ওলার ট্যাক্সি চলতে শুরু করেছে কর্নাটকের বেঙ্গালুরু, মাইসুরু, মাঙ্গালুরু এবং হুবলি-ধারওয়াড় অঞ্চলে। সরকারের নির্দেশিকা মেনেই গাড়ি চালাতে হচ্ছে। কোনও গাড়িতে দু'জনের বেশি যাত্রী তোলা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার ওলার ট্যাক্সিতে উঠেছেন খুবই কম সংখ্যক যাত্রী। তবে লকডাউন আরও শিথিল হলে যাত্রীর সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
আম্ফানের প্রকোপে প্রথম বলি! কতটা প্রলয় আনতে চলেছে এই সুপার সাইক্লোন?