একের পর এক ধসে বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, কালিম্পং-এ ৫ শ্রমিকের খোঁজে তল্লাশি
কালিম্পং (kalimpong) -এ মামখোলায় ধসের (landslide) ফলে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শ্রমিকদের (labour) খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে শনিবারেও। প্রবল বৃষ্টিতে শুক্রবার এই ধসে নিখোঁজ হয়ে যান বেশ কয়েকজন শ্রমিক। দুজনকে উদ্ধার করে হাসপ
কালিম্পং (kalimpong) -এ মামখোলায় ধসের (landslide) ফলে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শ্রমিকদের (labour) খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে শনিবারেও। প্রবল বৃষ্টিতে শুক্রবার এই ধসে নিখোঁজ হয়ে যান বেশ কয়েকজন শ্রমিক। দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে একজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত ব্যক্তিকে ধ্যানসিং ভাণ্ডারী বলে সনাক্ত করা গিয়েছে। তিনি নেপালের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
নিখোঁজ ৫ শ্রমিক
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবল বৃষ্টিতে শ্রমিকদের ক্যাম্পটি ধসের কবলে পড়ে। সেবক-রংপো রেল প্রোজেক্ট তৈরির কাছে এইসব শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। ধসের পর থেকেই সবাই নিখোঁজ হয়ে যান। খবর পাওয়ার পরেই কালিম্পং পুলিশ উদ্ধারকারী দল নিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে। শনিবার সকালে দেবগ্রাম থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা দলও পৌঁছয় সেখানে। পাশাপাশি শিলিগুড়ি থেকে সেখানে একটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরকেও সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।
অবরুদ্ধ ১০ নম্বর জাকীয় সড়ক
প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে উদ্ধারকাজেও বাধা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন, প্রশাসনিক আধিকারিকরা। অন্যদিকে ট্রাফিকও অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেননা ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক সিকিমের লাইফলাইন। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে একের পর ধসের জেরে তা অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। এই রাজ্যের মধ্যে রংপো এবং মেলির মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে তা সিকিমের সঙ্গেও সংযোগ ছিন্ন করেছে।
বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের পরামর্শ
মমখোলার কাছে একি কালভার্টও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার জেরে গুরুত্বপূর্ণ রাস্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সিকিম সীমান্ত থেকে প্রায় ৬০ কিমি দূরে ২৯ মাইলে থাকা ধস সরিয়ে একদিকের যানচলাচল শুরু করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে বলা হয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁরা যেন এই রাস্তা না ধরেন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পূর্ব সিকিমের মমরিং থেকে দক্ষিণ সিকিমের মেলির মধ্যে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যতক্ষণ না পর্যন্ত ধস সরানো হয়।
সরানো হয়েছে বাসিন্দাদের
অন্যদিকে সিকিমের বিধায়ক অঞ্জিতা রাজালিম এবং দক্ষিণ সিকিমের জেলাশাসক এম ভারানি কুমার কেরাবারি, চালিশে এবং মেলিবাজার পরিদর্শন করেছেন। তবে সরকারি আধিকারিককে প্রত্যেক ঘরে ঘরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য। ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিক্ষতির হিসেব করারও চেষ্টা করেছেন তাঁরা। সবকটি রাস্তা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে মেলিবাজার সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। মেলিবাজারে ধসের পরে সেখানকার সব বাসিন্দাকে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ জায়গায় সরকারি ভবনে সরানো হয়েছে।
সংযোগকারী রাস্তা ছাড়াও মেলিবাজারে ১০ টি বাড়ি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। একটি মাধ্যমিক স্কুলের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও স্টেট ব্যাঙ্ক অফ সিকিমের একটি শাখাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কালিম্পং-এ ধসের পরে আরও আরও বড় দুর্যোগের আশঙ্কা, বাংলার বিভিন্ন জেলার আবহাওয়ার পূর্বাভাস একনজরে