
উত্তরাখণ্ডে মিথ ভেঙে গেল, নেতৃত্বহীনতাই কি পরাজয়ের কারণ রাহুল-প্রিয়াঙ্কার কংগ্রেসের
উত্তরাখণ্ডে এবার ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে কংগ্রেস, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এ ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিতই ছিলেন। আবার বেশিরভাগ বুথ ফেরত সমীক্ষাতেও আভাস ছিল কংগ্রেস ক্ষমতা ফিরতে পারে। বৃহস্পতিবার গণনা শুরুর পর থেকেই শেয়ানে শেয়ানে টক্কর দিচ্ছিল কংগ্রেস ও বিজেপি। কিন্তু যত শেষের দিকে গিয়েছে গণনা, ততই বিজেপির জয়ের ব্যবধান বেড়েছে। শেষপর্যন্ত প্রায় ৭০ শতাংশ আসন নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চলেছে।

উত্তরাখণ্ডে রেকর্ড গড়ে বিজেপিই ফের ক্ষমতায়
টানা দুবার উত্তরাখণ্ডের মসনদে বসতে চলেছে বিজেপি। এর আগে কোনও দল উত্তরাখণ্ডে টানা দুবার ক্ষমতায় আসতে পারেনি। একবার কংগ্রেস তো পরেরবার বিজেপি। এবারও তার অন্যথা হবে না বলেই মতপোষণ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বিজেপির জয় সেই অঙ্ককে ভুল প্রমাণিত করল। উত্তরাখণ্ডে রেকর্ড গড়ে বিজেপিই ফের ক্ষমতায় ফিরছে।

কংগ্রেস পরাজিত হয় উত্তরাখণ্ডেও
উত্তরাখণ্ডে বিজেপি এবার খুব সুবিধানজনক জায়গায় ছিল না। তারা দু-দু'বার মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছিল। শেষবার যিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বা যিনি বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী সেই পুষ্কর সিং ধামী এবার ভোটে হেরেছেন। তারপরও বিজেপি ৭০টির মধ্যে ৪৭টিতে জিতে ক্ষমতায় ফিরল উত্তরাখণ্ডে। কংগ্রেস পরাজিত হয় উত্তরাখণ্ডে।

দুটি ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হলেন হরিশ সিং রাওয়াত
কিন্তু কী কারণে কংগ্রেস মুখ থুবড়ে পড়ল দেবভূমিতে? নেতৃত্বহীনতাই কংগ্রেসের জয়ের পথে বারবার কাঁটা হচ্ছে! প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ সিং রাওয়াতকে কংগ্রেস পাঞ্জাবের কোন্দল মেটানোর দায়িত্ব দিয়েছিল। সেই কাজেও সফল হননি তিনি। তারপর উত্তরাখণ্ডে তাঁকেই মুখ করা হল কংগ্রেসের। কিন্তু দেখা গেল দুটি ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হলেন হরিশ সিং রাওয়াত। পাঞ্জাবের অন্তর্কলহও থামাতে পারলেন না তিনি, দলকেও জয় এনে দিতে পারলেন না উত্তরাখণ্ডে।

পুস্কর সিং ধামী হেরেছেন, হেরেছেন হরিশ সিং রাওয়াতও
হরিশ সিং রাওয়াত ভোট প্রচারে এসে বেশ কিছু আলটপকা মন্তব্য করে দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে ছিলেন। ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মতো কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকেও 'রিজেক্ট' করেছে উত্তরাখণ্ড। পুস্কর সিং ধামী যেমন হেরেছেন, হেরেছেন হরিশ সিং রাওয়াতও। মাঝে জিতে গিয়েছে বিজেপি। আর পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছে কংগ্রেসকে।

গোটা দেশে কংগ্রেস ক্রমেই অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ছে
এ জন্য অবশ্য শুধু হরিশ সিং রাওয়াতই নয়, দায় এড়াতে পারেন না সোনিয়া, রাহুল বা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীরাও। কংগ্রেস ২০১৯ সাল থেকে নেতৃত্বহীনতায় ভুগছে। কংগ্রেসের পথ প্রদর্শক হয়ে উঠতে পারেননি কোনও নেতা বা নেত্রী। গান্ধী পরিবারের বাইকে কাউকে সভাপতি হিসেবে তুলে ধরতে পারেনি কংগ্রেস। তার ফল ভুগতে হচ্ছে। কোনও রাজ্যে কংগ্রেস আধিপত্য বিস্তার করতে পারছে না। এই মুহূর্তে পাঞ্জাব হাতছাড়া হল কংগ্রেসের। কিন্তু বিকল্প কোনও রাজ্য এল না কংগ্রেসের হাতে। খালি থাকল কংগ্রেসের ঝুলি। এখন শুধু ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে ক্ষমতায় কংগ্রেস। আর মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেসের জোট সরকার। গোটা দেশে কংগ্রেস ক্রমেই অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ছে।
জাতিবাদ, পরিবারবাদ থেকে মুক্তি! উত্তরপ্রদেশের জনতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আরও কী বললেন যোগী?