খাস দিল্লি থেকে গ্রেফতার চিনা গুপ্তচর! লাদাখ উত্তেজনার মাঝে বড় সাফল্য গোয়েন্দাদের
রাজধানী দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হল এক চিনা নাগরিককে। আয়কর দফতরের এক হানায় সেই নাগরিককে গ্রেফতার করা হয় মঙ্গলবার রাতে। জানা গিয়েছে ধৃত লুয়ো সং ভুয়ো চিনা কোম্পানির হয়ে এদেশে অর্থ পাচারের কাজ করত। তার কাছে মণিপুরের জাল পাসপোর্টও ছিল বলে জানা গিয়েছে।
গুপ্তচরবৃত্তির জন্যে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় লুয়োকে
ধৃত লুয়ো সংকে গুপ্তচরবৃত্তির জন্যে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়। আয়কর দফতরের এক হানার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে ২০১৮ সালেও লুয়োকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপরই সে জাল পাসপোর্ট বানিয়ে নিজেকে মণিপুরের বাসিন্দা বলে দাবি করতে থাকে। সেখানকার এক মেয়েকেও সে বিয়ে করে।
জাল ভারতীয় পাসপোর্ট সহ গ্রেফতার চিনা নাগরিক
লুয়োর মণিপুরী পাসপোর্টে তার নাম চার্লি পেং। জানা গিয়েছে চিনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি ছাড়াও এদেশে অর্থপাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল লুয়ো। আরও তথ্য জানার জন্যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পুলিশের তরফে। হাওয়ালার এই টাকা কোনও ভাবে সন্ত্রাসের কাজে খরচ হত কি না তাও জানার চেষ্টা চলছে।
৩০০ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন করেছে লুয়ো
জানা গিয়েছে এই চিনা গুপ্তচর ভারতে নিজের নামে ৮ থেকে ১০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে তাতে ৩০০ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন করেছে। ব্যাঙ্কের বহু কর্তা ও আধিকারিক সহ বেশ কয়েকজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টও তার এই কাজে যুক্ত বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাদের নাম জানার জন্য জেরা চলছে লুয়োর।
ভারতের জালে বড় মাছ
আয়কর দফতরের তথ্য অনুযায়ী এদেশে চিনা নাগরিকদের নামে ৪০টিরও বেশি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাতে মোট ১০০০ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হয়। এই আবহে লুয়োর এই ৮-১০টি অ্যাকাউন্টেই ৩০০ কোটি টাকার হাওয়ালা লেনদেন এক বড় বিষয়। সেখানে বলাই যায় যে পুলিশের জালে এক বড় মাছ ধরা পড়েছে।
জঙ্গি-চিন যোগ নিয়ে তদন্ত
এই গ্রেফতারির পর ফের ভারতে চিনের দখলদারি নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। ভারতকে কাবু করতে পাক জঙ্গিদের মদত নিচ্ছে বেজিং। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। কাশ্মীরে নাশকতা চালানোর জন্য লালফৌজ পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন অল বদরের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। এই সব জঙ্গি অনুপ্রবেশে লুয়োর কোনও হাত রয়েছে কিনা, বা এই জঙ্গিদের কোনও ভাবে সে আর্থিক সাহায্য দেয় কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দক্ষিণ ভারতে জঙ্গিদের জাল ছড়াচ্ছে কার মদতে
এদিকে করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ভারতে জাল ছড়াচ্ছে আইএসআইএস জঙ্গি সংগঠন। কেরল এবং কর্নাটকে জাল বিস্তার করছে আইএসআইএস জঙ্গি সংগঠন। ভারতকে এই নিয়েও সতর্ক করেছে রাষ্ট্রসংঘ। তালিবানি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আলকায়দা, আইএসআইএস জঙ্গিরা। বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমারে ধীরে ধীরে সক্রিয় হয়ে উঠছে তারা। এদেরও চিন পরোক্ষ ভাবে মদত দিচ্ছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
লাদাখ দখল করার ছক
এদিকে জানা গিয়েছে লাদাখ দখল করার ছক চিন গত বছরের শেষে বা এবছরের জানুয়ারিতেই কষেছিল। এমনটাই জানাচ্ছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। জানা গিয়েছে জানুয়ারি মাসেই চিন তিব্বতে টি ১৫ ট্যাঙ্ক মোতায়েন করে প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল লাদাখ আক্রমণের। এবং জুনে যে ঘটনাটি ঘটল তা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত হানা। সেক্ষেত্রে চিনা গুপ্তচর নেটওয়ার্ক ভারতে কীভাবে ছড়িয়ে তা জানতেও লুয়োকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গিলগিটে বেআইনিভাবে চিনকে খনন সত্ত্ব বিক্রি পাকিস্তানের! লাদাখ সংঘাতের নেপথ্যেও কি খনিজ পদার্থ?