ভারতের 'সিলিকন ভ্যালি'-তে পুজো দর্শন করাতে হাজির বাঙালি প্রযুক্তিবিদের অ্যাপ, মুখোমুখি স্নেহাশিস শীল
ক্যালেন্ডার বলছে পুজোর আর বাকি মাত্র কটা দিন। কলকাতায় পা রাখলে এখনই হয়ত টের পাওয়া যাবে পুজোর আমেজ।
ক্যালেন্ডার বলছে পুজোর আর বাকি মাত্র কটা দিন। কলকাতায় পা রাখলে এখনই হয়ত টের পাওয়া যাবে পুজোর আমেজ। কিন্তু ছাতিম-শিউলির গন্ধ ছাড়াও যে পুজো আসে, পুজো আসে কংক্রিটের জঙ্গলে মোড়া ভারতের সিলিকন ভ্যালি বেঙ্গালুরুতেও। এই শহর আপাতমস্তক পেশাদার। তবুও পুজোর ৫দিন এখানে চোখ তুলে তাকালে পেয়ে যাবেন পাঞ্জাবির হাতা গুটিয়ে পরিবেশন করা কাকু, অপটু হাতে ধুনুচি নাচ করা ছেলে ছোকরা, গিটারে সুর তোলা দাদা, কিংবা মায়ের মতই ভাল কোনও কাকিমা-জেঠিমা, যাঁরা মুখ ভার দেখে এগিয়ে এসে বলেন, কি, বাড়ির জন্য বুঝি মন কেমন করছে? বেঙ্গালুরুর দুর্গা পুজো কলকাতার মত নয় ঠিকই, তবু এই শহরের পুজোগুলো মন ভাল করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
আলোর মাতামাতি হয়ত নেই, নেই রাস্তাজোড়া ভিড়, বড় বড় প্যান্ডেল। তবুও যাঁরা পুজোয় বাড়ি যেতে পারছেন না, তাঁরা কিন্তু ঘুরে দেখতেই পারেন এই শহরের বিভিন্ন পুজো। নয়-নয় করে আজকের দিনে ১২০টা দুর্গাপুজো হয়ে থাকে বেঙ্গালুরুতে। কিন্তু কলকাতার মত অলি গলিতে এখানে পুজো হয় না। আর এক একটা পুজো মণ্ডপের মধ্যে দূরত্বও থাকে অনেক। তারমধ্যে বেঙ্গালুরুর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত সবাই তো চেনেন না। তাই কোথায় কোন পুজো হচ্ছে অনেকেই জানতে পারেন না। আর যাঁরা এই শহরে নতুন এসেছেন তাঁদের কাছে তো শহরটা ভুলভুলাইয়ার মতই।
এই সমস্যা হয়েছিল স্নেহাশিষেরও। স্নেহাশিষ শীল পেশায় অ্যান্ড্রয়েড ডেভলপার। পড়া আর কাজ মিলিয়ে নয় নয় করে সাতটা বছর কেটে গিয়েছে তাঁর বেঙ্গালুরুতে। নিজে একটি পুজো কমিটির সঙ্গে যুক্ত আছেন ৫ বছর হয়ে গেল। সেই সূত্রেই স্নেহাশিষ দেখেন অনেকেই তাঁদের পুজোর কথা জেনেছেন, শুনেছেন। কিন্তু পুজো খুঁজতে গিয়ে রীতিমত গলদঘর্ম অবস্থা। তখনই ভেবেছিলেন কী করে বেঙ্গালুরুর পুজোগুলিকে এক ছাদের তলায় আনা যায়। আর সেই থেকেই তিনি বানিয়ে ফেলেন ব্য়াঙ্গালোর দুর্গা পূজা অ্যাপ। আমরা কথা বলেছিলাম স্নেহাশিষের সঙ্গে।
প্রশ্ন : হঠাৎ এমন একটা অ্যাপ বানানোর কথা মাথায় এল কী করে?
স্নেহাশিষ : সত্যি বলতে কী আমার প্রথম দুটো পুজো খুব খারাপ কেটেছিল বেঙ্গালুরুতে। পুজোর সময় বাড়ি যেতে পারেনি, এদিকে এখানেও তেমন কিছু চিনতাম না। বলতে গেলে মেসে বসেই কেটেছিল পুজো। পরে পুজোর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর দেখলাম বেঙ্গালুরুতে হয় তো অনেক পুজোই, কিন্তু সবাই জানতে পারেন না। এখানকার চেনা পুজোগুলোতে যাতে সবাই যেতে পারেন সেকথা ভেবেই এই অ্যাপ বানাই আমি গতবছর।
প্রশ্ন
:
কী
কী
তথ্য
আছে
আপনার
এই
অ্যাপে?
স্নেহাশিষ
:
বেঙ্গালুরুর
মোটামুটি
সব
বড়
পুজোর
ডিটেলস
এই
অ্যাপে
আপনারা
পাবেন।
যেমন
পুজোর
নাম,
কোথায়
পুজো
হচ্ছে
তার
ঠিকানা,
যোগাযোগের
নম্বর।
আর
সবথেকে
বড়
সুবিধা
হল
গুগল
ম্যাপ।
আপনি
চাইলেই
এক
ক্লিকে
পেয়ে
যাবেন
পুজোর
লোকেশন।
যে
প্রান্তেই
থাকুন,
পুজো
খুঁজতে
তাই
কোনও
অসুবিধা
হবে
না।
প্রশ্ন
:
কীভাবে
এই
তথ্য
জোগাড়
করেন
আপনি?
স্নেহাশিষ
:
সোশ্যাল
মিডিয়া
থেকে
আমি
প্রথমে
পুজোর
কর্মকর্তাদের
সঙ্গে
যোগাযোগ
করি।
সেখান
থেকেই
বিস্তরিত
তথ্য
সংগ্রহ
করি।
তবে
এবছর
অনেক
পুজো
কমিটি
আমার
সঙ্গে
যোগাযোগ
করেছিল
তাদের
নাম
তোলার
জন্য়।
আসলে
কী
বলুন
তো
সকলেই
তো
চায়
তাদের
পুজো
দেখতে
লোক
আসুক।
প্রশ্ন
:
কতগুলো
পুজোর
ডিটেলস
আছে
আপনার
অ্যাপে?
স্নেহাশিষ
:
প্রথম
বছর
৪০টার
মত
পুজোর
ডিটেলস
দিতে
পেরেছিলাম।
এবছর
হাফ
সেঞ্চুরি
পেরিয়ে
এগোচ্ছে
আরও।
মোটামুটি
চেনা
সব
পুজোই
পেয়ে
যাবেন
এখানে।
প্রশ্ন
:
যাঁরা
এই
অ্যাপ
ব্যবহার
করছেন
তাঁরা
কী
ফিডব্যাক
দিয়েছেন?
স্নেহাশিষ
:
তাঁরা
তো
ভীষণ
খুশি
।
অনেকেই
বলেন
এমন
একটা
অ্যাপেরই
দরকার
ছিল।
কারণ
পুজো
খুঁজে
পাওয়াটা
বেঙ্গালুরুতে
যুদ্ধ
জয়ের
মতনই।
এই
ভাল
ফিডব্যাকগুলোই
আমাকে
আরও
ভাল
কাজ
করতে
উৎসাহ
দেয়।
প্রশ্ন
:
আচ্ছা
যে
সব
পুজো
এখনও
আপনার
অ্যাপে
নেই
তারা
যদি
নিজেদের
নাম
ঢোকাতে
চায়
তাহলে
কী
করতে
হবে?
স্নেহাশিষ
:
কেউ
যদি
চান
এই
অ্যাপে
নিজেদের
পুজোর
ডিটেলস
দিতে
তাহলে
[email protected]
এ
মেল
করতে
পারেন।
আমি
যোগাযোগ
করে
নেব।
গুগল
প্লে
-তে
গিয়ে
BangaloreDurgaPuja
সার্চ
করে
ডাউনলোড
করতে
পারেন
অ্যাপটি।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.shil.bangaloredurgapuja
এই
লিঙ্কেও
ক্লিক
করতে
পারেন।
ফেসবুকেও
যোগাযোগ
করত
পারেন
যে
কেউ।
https://www.facebook.com/bangaloredurgapuja/