হাজার বছরের প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে দেবী পূজিত হন বাঁকুড়ার মল্লরাজবাড়িতে
মল্ল রাজারা আজ আর নেই। কিন্তু আজও প্রাচীন প্রথা মেনে পুজো হয় মল্লরাজ বাড়িতে।
মল্ল রাজারা আজ আর নেই। কিন্তু আজও প্রাচীন প্রথা মেনে পুজো হয় মল্লরাজ বাড়িতে। ঐতিহ্য আর পরম্পরা মেনেই পুজোর পনেরো দিন আগে জিতাষ্টমীর দিন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের মল্লরাজ বাড়িতে শুরু হল পটের দেবী বড় ঠাকুরনের পুজো।
এরপর পুরনো রীতি মেনে মেজো ঠাকুরন ও ছোট ঠাকুরন মন্দিরে আসেন। জিতাষ্টমীর পরের দিন তিনটে তোপধ্বনির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয় বিষ্ণুপুর মল্লরাজবাড়ির পুজো। পুরনো রীতি মেনে পনের দিন আগে থাকতেই শুরু হয় পট পুজো।
বংশ পরম্পরায় এখনও শহরের শাঁখারি বাজারের ফৌজদার পরিবারের পটুয়ারা সরবরাহ করেন পট। জিতাষ্টমীর পরের দিন মরচা পাহাড়ে কামানের তোপধ্বনির মাধ্যমে এদিন শুরু হয়ে গিয়েছে আনুষ্ঠানিক ভাবে পুজো।
বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজাদের ইতিহাস থেকে জানা যায়, মল্লরাজা জগৎ মল্ল ৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে দেবীর প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর থেকেই এই ধারাবাহিকতা সমানে বজায় রয়েছে। বংশ পরম্পরায় পুরোহিত তরুণ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এখানে পুজো হয় বৈষ্ণবী মতে।
মহাকালী, মহালক্ষী ও মহা সরস্বতী তিন রূপে মায়ের পুজো করা হয়। আজ মন্দিরে যে পট এল তা মহাকালী অর্থাৎ বড়ঠাকুরন। কৃষ্ণ পক্ষের নবমী তিথিতে আজ পুজো শুরু হয়। তোপধ্বনির কারণ সম্পর্কে পুরোহিত বলেন, যেহেতু এই পুজো রাজপরিবারের তাই তোপধ্বনি দিয়ে অন্যান্যদের পুজো সূচনার বার্তা দেওয়া হয়।
এরপরই
অন্যান্য
পুজোর
সূচনা
হয়
বলে
তিনি
জানান।
রাজ
পরিবারের
বর্তমান
সদস্যদের
থেকে
জানা
যায়,
আজ
থেকেই
তাঁদের
পুজো
শুরু
হয়ে
গেল।
মন্দিরে
বড়ঠাকুরন
এলেন।
সারা
বছর
মন্দিরে
সাদা
চালের
ভোগ
হলেও
আজ
থেকে
খিচুড়ি
ভোগ
হবে।
সপ্তমীতে
মেজো
ঠাকুরন
আসবেন।
এক
হাজার
একুশ
বছর
ধরে
একই
নিয়ম
চলে
আসছে
বলে
তিনি
জানান।
তোপধ্বনির মাধ্যমে মৃন্ময়ী মাকে আহ্বান জানানো হয়। হাজার বছরেরও বেশি পুরনো মল্ল রাজাদের এই পুজো যে বাংলার অন্যতম সেরা ঐতিহ্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না।