করোনায় আরটি- পিসিআর টেস্টে বিভ্রান্তি ঘিরে সিটি স্ক্যানের পরামর্শ চিকিৎসকদের
আরটি পিসিআর টেস্টকে 'গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড' টেস্টিং ধরা হয়। সেই জায়গা থেকে করোনা অতিমারীর মধ্যে অনেকেই এই টেস্টের ওপর আস্থা রাখছেন। তবে দেখা যাচ্ছে আরটি পিসিআর টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট এলেও একজন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। কারণ করোনার নতুন স্ট্রেইন আরটি পিসিআরে ধরা দিচ্ছে না বলে খবর। যার জেরে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আরও উদ্বেগ বাড়ছে।
বিভ্রান্তিতে ঠাসা আরটি পিসিআর টেস্ট!
ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টিং এবং তারপর আরটি পিসিআর টেস্টের পরও দেখা যাচ্ছে, বহু মানুষই করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে টেস্টিং থেকে সঠিকভাবে চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে কিছু বিভ্রান্তি দেখা যাচ্ছে। সেই দিক থেকে সদ্য প্রকাশিত এক আ্যাডভাইসারি জানিয়েছে, আরটি পিসআর টেস্ট হলেও একজনের উচিত নিজেকে ১৪ দিন মতো কোয়ারেন্টাইনে রাখা, যদি কিছু উপসর্গ শরীরে দেখা দেয়।
চিকিৎসকদের পরামর্শ
আরটি পিসিআর টেস্ট নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতেই চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে হাই রেজোলিউশন সিটি ক্স্যান করাতে। এই স্ক্য়ানে ফুশফুসে জমে থাকা সংক্রমণের সঠিক তথ্য উঠে আসতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভদোদরায় কোন পরিস্থিতি?
আরটি পিসিআর টেস্ট ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়াতেই গুজরাতের ভদোদরা পুরসভার তরফে এক নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে, বর্তমানে যে করোনা স্ট্রেইন রয়েছে, তাতে আরটি পিসিআরএ যে পজিটিভ রিপোর্ট ধরা পড়বেই , এমনটা বলা যাচ্ছে না। ফলে বীমা সংস্থাগুলিকে আর থার্ড পার্টি অ্যাডমিনিস্ট্রেটারকে এগুলি কোভিড হিসাবেই চিহ্নিত করতে হবে।
সিটি স্ক্যান থেকে কী জানা যাচ্ছে?
বহু বিশিষ্ট চিকিৎসকের দাবি, মন রোগী তাঁদের কাছে আসছেন যাঁরা আরটি পিসিআরএ নেগেটিভ রিপোর্ট পেয়েছেন , অথচ সিটিস্ক্যানে তাঁদের স্কোর ২৫ এ ১০ । ত রোগীদের রেডিওলজিক্যাল টেস্টে দেখা যাচ্ছে করোনার জেরে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া খুবই দরকার। আর এই রেডিওলজিক্যাল টেস্টই জানান দিচ্ছে যে করোনা এই সমস্ত রোগীদের ফুসফুস কীভাবে আক্রান্ত করেছে।
পরিসংখ্যান ও সিটি স্ক্যান
আরটি পিসিআর টেস্টে দেখা যাচ্ছে তার 'সেন্সেটিভিটি' ৭০ শতাংশ। যার মানে ৩০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে 'ফলস নেগেটিভিটি" র রিপোর্ট আসার। তবে সিটি স্ক্যানে একটি প্রমাণও মিললে সেই ঘটনাকে করোনা পজিটিভ বলে ধরা নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে যদি শরীরে কারোর উপসর্গ দেখা যায় তাহলে বহু চিকিৎসক বারবার টেস্টিং এর পরামর্শও দিচ্ছেন।