জঙ্গি নয়, পুলিশের মৃত্যুতে ফুঁসছে উপত্যকা! সময় কী বদলাচ্ছে?
হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই উত্তাল কাশ্মীর উপত্যকা। দীর্ঘদিন অশান্তির তাপে জ্বলতে থাকা কাশ্মীরে এবার হয়তো পরিস্থিতি বদলানোর ইঙ্গিত।
শ্রীনগর, ৩ জানুয়ারি : হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই উত্তাল কাশ্মীর উপত্যকা। দীর্ঘদিন অশান্তির তাপে জ্বলতে থাকা কাশ্মীরে এবার হয়তো পরিস্থিতি বদলানোর ইঙ্গিত। এবার আর কোনও জঙ্গি মৃত্যুতে নয়, বরং উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলায় পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু ঘিরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ কেন্দ্রীভূত উপত্যকায়। [ জঙ্গি বুরহান নয় ইনি বিএসএফ নাবিল, খবরের শিরোনামে এখন কাশ্মীরের 'দেশপ্রেমিক' ওয়ানি!]
গত কয়েক মাস ধরে, কাশ্মীর সাক্ষী থেকেছে মৃত একাধিক জঙ্গির অন্ত্যেষ্টিতে শোকার্ক বহু সংখ্যক মানুষকে। কিন্তু রবিবার এক অন্য কাশ্মীরের সাক্ষী থাকল দেশ। পুলিশ কনস্টেবল আবদুল করিমের অন্ত্যেষ্টিতে হাজির হাজার হাজার মানুষ। শনিবার কুপওয়াড়ায় শ্রীনগর রোডে জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় এই পুলিশকর্মীর।
মৃত করিমের এক পড়শির কথায়, "এটা ঠিক নয়, এই কাজ ইসলাম বিরোধী। যদি সন্ত্রাসবাদীরা ভাবে এটা জেহাদ তাহলে তাদের সমর্থনে কেউ নেই।" ['শহিদ' আখ্যা দিয়ে জঙ্গি বুরহানের পোস্টারে মুড়ল পাকিস্তানের ট্রেন]
তবে কি পরিবর্তন আসছে?
মৃত পুলিশ কনস্টেবল করিমের শেষকৃত্যই ইঙ্গিত দিচ্ছে উপত্যকায় ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসছে। প্রায় ৫ মাস আগে ৯ জুলাই ওয়ানির শেষকৃত্যে যোগ দিয়েছিল অগণিত মানুষ। মুখে ছিল দেশবিরোধী স্লোগান।
ওয়ানির শেষকৃত্য একমাত্র উদাহরণ নয়, এরকম ভুরি ভুরি ঘটনা রয়েছে যেখানে জঙ্গিদের মৃত্যুতে শোকার্ত হয়েছে উপত্যাকার হাজার হাজার মানুষ, ফলাও করে হয়েছে জঙ্গিদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান। এই পরিস্থিতি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্বেগ ক্রমশই বাড়াচ্ছিল।
কিন্তু পুলিশ কর্মী আবদুল করিমের মৃত্যু উপত্যকায় আমুল পরিবর্তনের একটা আশা জাগিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ তাঁর শেষকৃত্যে যোগ দিয়ে আশার আলো দেখিয়েছেন।
শুধু যোগ দেওয়াই না, নিজের ক্ষোভ, রাগ, চিন্তাধারা উগরে দিয়েছে অনেকেই। একটা বড় অংশই বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, যারা করিমকে মেরেছে তারা জেহাদি নয়, তারা সৈন্য নয়, তারা জঙ্গি, তারা কাপুরুষ।