ফাটল ধরেছে দেওয়ালে, তিন বছরের পুরনো বহুতল গেল বেঁকে, আতঙ্কে ঘরছাড়া ৩২টি পুলিশ পরিবার
বেঙ্গালুরুর পুলিশ আবাসনে ফাটল
মাত্র তিন বছরের পুরনো বহুতলের নীচের তলায় ফাটল ও কাঠামোয় চিড় ধরায় সাততলা বিল্ডিং পুরো বেঁকে গেল। আর সেই আতঙ্কে ৩২টি পুলিশ পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল। জানা গিয়েছে, মাত্র তিন বছর আগে তৈরি হয়েছিল এই পুলিশ আবাসন। এই ঘটনায় ফের নতুন করে বেঙ্গালুরুবাসীর আতঙ্ক বাড়ল।
পুলিশ
আবাসনের
সাততলা
এই
বহুতলে
৩২টি
পরিবার
বসবাস
করতেন
যা
বিন্নি
মিলসের
কাছে
অবস্থিত।
এখন
এই
পরিবারগুলিকে
নিয়ে
আসা
হয়েছে
শহরের
নগরভাবি
এলাকার
নব
নির্মিত
পুলিশ
আবাসনে।
বেঙ্গালুরুর
বিন্নি
মিলের
পুলিশ
আবাসনের
এ
ধরনের
ভয়ানক
পরিকাঠামো
বাসিন্দাদের
মনে
আতঙ্কের
সৃষ্টি
করেছে।
প্রসঙ্গত,
গত
তিন
সপ্তাহে
তিনটে
বাড়ি
ভেঙে
পড়ে
এবং
একটি
বাড়িকে
ভেঙে
দেওয়া
হয়।
তবে
সৌভাগ্যবশত,
বাড়িগুলি
যথাসময়ে
খালি
করে
দেওয়ার
ফলে
সেই
সময়
কোনও
হতাহতের
খবর
পাওয়া
যায়নি।
এখানে
উল্লেখ্য,
বৃষ্টি
হওয়ার
পরই
বাড়িগুলির
অবস্থা
অত্যন্ত
শোচনীয়
হয়ে
পড়ে।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বিগত কয়েকদিন ধরে যে পরিমাণে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে, তার জেরেও একাধিক বাড়ির ভিত আলগা হয়ে যেতে পারে এবং সেই কারণেই বাড়িগুলি বেঁকে যাচ্ছে। বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকার কমিশনার গৌরব গুপ্তা বলেন, 'আমরা প্রায় ৩০০টি বাড়িকে চিহ্নিতকরণ করেছি ভেঙে ফেলার জন্য়। বাড়ি মালিকদের কাছে এই মর্মে নোটিস পাঠানো হয়েছে এবং তাদের বলা হয়েছে, বাড়ি ভাঙা রুখতে উপযুক্ত প্রমাণ দিতে হবে যে বাড়িটি সুরক্ষিত।’ এই মাসের প্রথম ১৫দিনে বেঙ্গালুরুতে ১৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা সাধারণত ৭৩ মিলিমিটারের থেকে দ্বিগুণ।
জানা গিয়েছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরুর উইলসন গার্ডেনে প্রথম বহুতল ভেঙে পড়ার পরই দু’বছরের ওপর দুর্বল বহুতলগুলির সমীক্ষা করা শুরু করেছে বেঙ্গালুরু প্রশাসন। এই ঘটনার মর্মান্তিক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে, ওই ঘটনার সময়ই পাশে মেট্রোরেলের কাজ করছিলেন ৫০ জন শ্রমিক। কোনওমতে প্রাণে রক্ষা পান তারা। এরপরে ডেয়ারি সার্কেলের একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে। বিগত দুই সপ্তাহে কস্তুরি নগর ও কমলা নগরের দুটি বাড়িও বেঁকে যায়। বাসিন্দাদের সুরক্ষিতভাবে উদ্ধার করে আনার পর তা ভেঙে ফেলা হয়। সোমবার বেঙ্গালুরুতে এক রাতের বৃষ্টিতে গোটা শহর জলমগ্ন হয়ে যায়। শহরের প্রায় সব প্রান্তেই জল থইথই। বিমানবন্দরেও জল ঢুকে যাওয়ার ফলে যাত্রীদেরও টার্মিনালে পৌঁছতে শেষমেশ ট্র্যাক্টরে চড়তে হয়।