ফিফা বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় ফ্রান্স, এমবাপের জোড়া গোলে বিদ্ধ ডেনমার্ক
ফিফা বিশ্বকাপের শেষ ১৬-এ পৌঁছে গেল ফ্রান্স। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই। আজ গ্রুপ ডি-তে ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য ছিল। দ্বিতীয়ার্ধেই হলো তিনটি গোল। দুরন্ত ফুটবল খেলে জোড়া গোল উপহার দিলেন কিলিয়ান এমবাপে। ডেনমার্কের হয়ে একমাত্র গোলটি আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেনের।
চলতি বছরে এই নিয়ে তৃতীয়বার পারস্পরিক দ্বৈরথ হলো ফ্রান্স ও ডেনমার্কের। আগের দুটি সাক্ষাতে ডেনমার্ক যথাক্রমে ২-০ ও ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের। রাশিয়ায় ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে এই দুই দেশের দ্বৈরথ ছিল গোলশূন্য। চলতি বিশ্বকাপে তিউনিসিয়ার সঙ্গে ড্র করে ডেনমার্ক। ফ্রান্স জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। আজ ফ্রান্সের প্রথম একাদশে তিনটি পরিবর্তন করেন হেড কোচ দিদিয়ের দেশঁ। রাইট ব্যাকে বেঞ্জামিন পাভার্ডের পরিবর্তে জুলস কুন্ডে, সেন্টার ব্যাকে ইব্রাহিমা কোনাতের জায়গায় রাফায়েল ভারানে ও লেফট ব্যাতে আহত লুকাসের পরিবর্তে নামানো হয় থিও হার্নান্দেজকে। ডেনমার্কের আগের ম্যাচের একাদশে এদিন চারটি পরিবর্তন হয়। প্রথমার্ধে ফ্রান্স একাধিক সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। ডেনমার্কের অর্ধেই চাপ বজায় রাখছিল ফ্রান্স। উসমান দেম্বেলে অলিভিয়ার জিরু ও কিলিয়ান এমবাপের জন্য একাধিক সুযোগ তৈরি করে দিলেও গোলমুখ খোলেনি। ছোট ছোট পাস খেলে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালাতে থাকে ডেনমার্ক। বিরতিতে খেলার ফল ছিল গোলশূন্য।
দ্বিতীয়ার্ধ অবশ্য আক্রমণ, প্রতি আক্রমণে জমজমাট হয়ে ওঠে। ৬১ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপের গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ৬৮ মিনিটের মাথায় আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেনের গোলে সমতা ফেরায় ডেনমার্ক। যদিও ৮৬ মিনিটে এমবাপের গোল ডেনমার্কের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেয়। এই জয়ের সুবাদে ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে নক আউট পর্বে পৌঁছে গেল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ফ্রান্স শেষ ম্যাচ খেলবে তিউনিসিয়ার বিরুদ্ধেষ পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ২ ম্যাচে তাদের ঝুলিতে ৩ পয়েন্ট। ডেনমার্ক ২ ম্যাচের দুটিই ড্র করে ২ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে তিনে। শেষ ষোলোয় যেতে হলে শেষ ম্যাচে ডেনমার্ককে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিতেই হবে। দুটি ম্যাচের একটিতে হার ও একটি ড্রয়ের সুবাদে ১ পয়েন্ট তিনে সকলের নীচে তিউনিসিয়া। তাদের শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা ঝুলে শুধু অঙ্কের হিসেব আর অঘটনেই। কেন না, ফ্রান্স যেভাবে খেলছে তাতে তিউনিসিয়া এমবাপেদের হারাবে এটা কেউই মনে করছেন না।