ইসলামি ব্যাঙ্কের যোগ: কোন পথে সারদার টাকা জঙ্গী গোষ্ঠীর কাছে পৌঁছল
এখন ভারত বাংলাদেশের কাছে রিপোর্ট তলব করছে যে সারদা কেলেঙ্কারির টাকা এই ব্যাঙ্কে জড়ো করা হয়েছিল কি না তা নিয়ে। আর এর ফলে তদন্ত যেন আরও চমকপ্রদ হচ্ছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা মনে করছে জামাত-এ-ইসলামি সারাদার অর্থ সংগ্রহ করে এই আইবিবিএল ব্যাঙ্কে জড়ো করছিল। যা সৌদি আরব এবং মেক্সিকোতে পাঠানো হচ্ছিল।
আরও
একটি
ব্যাঙ্ক
কড়া
নজরদারিতে
আরও
একটি
ব্যাঙ্ক
যা
সোস্যাল
ইসলামি
ব্যাঙ্ক
নামে
পরিচিত,
তার
উপরও
কড়া
নজরদারি
রাখা
হচ্ছে।
এই
ব্যাঙ্ক
সরাসরি
সৌদি
আরবের
ব্যাঙ্কের
সঙ্গে
সংযুক্ত
এবং
গোয়েন্দা
সংস্থার
অনুমান
সারদার
টাকা
এই
এই
পথেও
সরানো
হতে
পারে।
গোয়েন্দাদের মতে এই সোস্যাল ইসলামি ব্যাঙ্ক সরাসরি জামাত-এ-ইসলামির সঙ্গে যুক্ত। জামাত-এ-ইসলামি সারদার টাকা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরানের নির্দেশেই এই ব্যাঙ্কে রাখা হয়েছিল।
জঙ্গী তহবিলকে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করার একাধিক অভিযোগ এই ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে অতীতে বহুবার উঠেছে। এমনকী এই ব্যাঙ্ক থেকে জাল মুদ্রা চারিদিকে ছড়িয়ে দেওয়ার বহু উদাহরণও অতীতে পাওয়া গিয়েছে এই ব্যাঙ্ক থেকে। লিম্বিনি গার্মেন্ট সংস্থা এক্ষেত্রে সকলের চোখ খুলে দিয়েছিল। দেখা গিয়েছিল এই ব্যাঙ্ক থেকে তোলা বিশাল পরিমান অর্থের মধ্যে বহু হাজার টাকার নোটই জাল ছিল
গোয়েন্দাসূত্রের খভর অনুযায়ী, এই ব্য়াঙ্ক জামাত-এ-ইসলামিকে তাদের তহবিল এই ব্যাঙ্কে জড়ো করার সুবিধা প্রদান করেছিল।
তদন্ত
পদ্ধতি
কেন্দ্রীয়
গোয়েন্দা
সংস্থার
তথ্য
অনুযায়ী,
আইবিবিএল-এ
যে
টাকা
সমবেত
করে
রাখা
হয়েছিল
তা
সৌদি
আরবের
অন্য
একটি
ব্যাঙ্কে
সরিয়ে
দেওয়া
হয়েছে।
বাংলাদেশ
ভারতকে
এবিষয়ে
প্রয়োজনীয়
তথ্য
দিলে
এই
বিষয়টা
স্পষ্ট
হয়ে
যাবে
যে
টাকা
সৌদি
আরবের
আল
রাঝি
ব্যাঙ্কে
সরিয়ে
দেওয়া
হয়েছে।
এই ব্যাঙ্কের কার্যপ্রণালী বিভিন্ন সংস্থা একাধিকবার সামনে এনেছে। লস্কর-এ-তৈবা এবং জামাত-এ-ইসলামি ত্রাণ কার্যে সংগ্রহ করা তহবিল এই সব ব্যাঙ্কগুলিতে প্রথমে জড়ো করে। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর মধ্যস্থতাকারীর সহয়তায় এই টাকা জঙ্গী গোষ্ঠীগুলির কাছে পৌছে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ যদি ভারতকে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট দেয় তবে যে শুধু আমাদেরই উপকার হবে তা না, বরং সারদার টাকা নির্দিষ্টভাবে কোথায় কোথায় ছড়িয়ে রয়েছে তা খুঁজে বের করতেও সাহায্য করবে। এমনকী বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডেও অর্থের সূত্র পাওয়া সম্ভব হবে। জামাত-উল-বাংলাদেশ, আর্থিক সহায়তা এবং অস্ত্রশস্ত্র, কৌশল, যন্ত্রসমূহের জন্যও জামাত-এ-ইসলামির উপর প্রবলভাবে নির্ভরশীল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাবাহিনীর সন্দেহ, এই টাকা জামাত-উল-বাংলাদেশকে সহায়তা প্রদানের জন্যও ব্যবহার করা হতে পারে।
জামাত এবং জেএমবি উভয়ই একটি নির্দিষ্ট কারণের জন্য কাজ করে। আর তা হল দেশের ক্ষমতায় থাকার দৌড় থেকে আওয়ামী লিগ কে ছুঁড়ে ফেলা। গোয়েন্দা আধিকারিকদের মতে প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে এই সব ঘটনা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত।