কেবিসির কোটিপতি ইনি, এখন কীভাবে জীবন চালান তিনি
৩.৫ কোটি টাকা মূল্যের পুরস্কার জিতলে আপনি কী করবেন। চাকরিতে মন দেবেন কি। কিন্তু এমনই করেছেন বিহারের সুশীল কুমার।
৩.৫ কোটি টাকা মূল্যের পুরস্কার জিতলে আপনি কী করবেন। চাকরিতে মন দেবেন কি। কিন্তু এমনই করেছেন বিহারের সুশীল কুমার। ২০১১ সালের কৌন বনেগা ক্রোড়পতির বিজেতা এই মুহূর্তে বিহারের এক স্কুলের শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
সালটা ছিল ২০১১। কৌন বনেগা ক্রোড়পতির সিজন-৫। সেখানে ৫ কোটি টাকা মূল্যের পুরস্কার জিতে নেন বিহারের সুশীল কুমার। কর বাদ দিয়ে তিনি হাতে পেয়েছিলেন ৩.৫ কোটি টাকা। এখন বিহারের টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট পাস করে নতুন চাকরিতে যোগ দেবেন তিনি। বিহারের মোতিহারির এই বাসিন্দা মাসে মাইনে পাবেন ১৮ হাজার টাকা করে। এই কাজে নির্বাচন হওয়ায় তিনি খুশি বলে জানিয়েছেন সুশীল কুমার।
যেই সময় সুশীল কুমার কেবিসি জিতেছিলেন, সেই সময় মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিমে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন।
২০১১ সালে নভেম্বরের ১ এবং ২ তারিখ, সুশীল কুমারের এপিসোডটি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়।
বিজেতা হিসেবে ঘোষণার পরেও টাকা পেতে অসুবিধায় পড়েছিলেন সুশীল কুমার। ২০১১-র ডিসেম্বরে একটি অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে ৩.৫ কোটি টাকার চেক তুলে দেন অমিতাভ বচ্চন।
সেই টাকা দিয়ে দ্বিতল বাড়ি তৈরি করেন সুশীল কুমার। যেখানে তাঁক পরিবারের ১৯ সদস্য এখন বসবাস করেন। তিনি জানিয়েছেন, যখন হাতে টাকা আসে, তখন তাঁর প্রথম লক্ষ্যই ছিল নিজের বাড়ি তৈরি করা এবং পরিবারের সবাইকে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসা। সেই কাজ তিনি ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন।
মোতিহারিতে মায়ের নামে একটি জমিও কিনেছেন তিনি। ভাই এবং অন্য কয়েকজন আত্মীয়কে ব্যবসা করতে সাহায্য করেছেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন সুশীল কুমার। মোতিহারি শহরে একাধিক দোকানও কিনেছেন তিনি।
দিল্লিতে এক বন্ধুর সঙ্গে ক্যাব-এর ব্যবসাতেও নেমেছেন সুশীল কুমার। বেশ কিছু পরিমাণ টাকা ব্যাঙ্কে রেখেছেন। যার থেকে প্রতিমাসে মিলছে সুদ।