জম্মু-কাশ্মীরে আদতে বিধানসভা আসন ১১১টি, ৮৭টি নয়
জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার আসন ১১১টি। ৮৭টি নয়। কিন্তু পাকিস্তানের দখলে কাশ্মীরের যে অংশটি রয়েছে, সেখান থেকে কোনও জনপ্রতিনিধি আসেন না। তাই বরাবর ৮৭টি আসনেই ভোট হয় এবং সেই অনুযায়ী সরকার গঠিত হয়।
এটা সবারই জানা যে, জম্মু-কাশ্মীরের আলাদা মর্যাদা রয়েছে। কারণ অন্যান্য রাজ্যের মতো তা স্বাভাবিকভাবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এই রাজ্যের আলাদা সংবিধান রয়েছে, যা ভারতের আর কোনও প্রদেশের নেই। কাশ্মীরি সংবিধানের নিয়ম মেনেই পরিচালিত হয় রাজ্যের বিধানসভা।
ভারতের অন্তর্গত কাশ্মীরে বিধানসভা আসন হল ৮৭টি। পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে পড়ছে বাকি ২৪টি আসন। জম্মু-কাশ্মীরের সংবিধানের ৪৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ২৪টি আসন খালি থাকবে বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত। সুতরাং, হিসাব-কিতাব সব ৮৭টি আসন ধরেই হয়। সরকার গড়তে ম্যাজিক ফিগার হল ৪৪টি।
জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে তিনভাগে ভাগ করা যেতে পারে জনবিন্যাসের নিরিখে। হিন্দুপ্রধান জম্মু এলাকা, মুসলিমপ্রধান কাশ্মীর এলাকা এবং বৌদ্ধপ্রধান লাদাখ এলাকা। জম্মু এলাকায় রয়েছে ৩৭টি আসন, কাশ্মীরে ৪৬টি আসন। বাকি চারটি আসন পড়ছে লাদাখে।
পশ্চিমবঙ্গের মতো এখানকার বিধানসভা এককক্ষ-বিশিষ্ট নয়। এখানে নিম্নকক্ষ বিধানসভা এবং উচ্চকক্ষ হল বিধান পরিষদ।
ভারতের সব রাজ্যে বিধানসভা ভোট হয় পাঁচ বছর অন্তর। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীর হল একমাত্র ব্যতিক্রম, যেখানে ছ'বছর অন্তর ভোট হয়। ২০০৮ সালে শেষবার ভোট হয়েছিল।