লক্ষ্য ভারতে আরও বড় ভূমিকা নেওয়া, ইন্টারনেটকে মাধ্যম বানাতে চায় সিমি
বিপরীত দিকে, হায়দ্রাবাদ পুলিশ দাবি করে, তারা আফগানিস্তানের পথে রওনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাবাহিনীর কথায়, এই দুই ব্যক্তি মহারাষ্ট্রের ১০ সদস্যের একটি সংগঠনের সদস্য যারা সিমি-র বিষয়সূচি ইন্টারনেট বা অনলাইনের মাধ্যমে প্রচার করতে চাইছে।
সিমি
অনলাইনে
শাখা
বিস্তারে
উদগ্রীব
ওমেরখেড়ে
জামাকাপড়ের
দোকানের
এক
ব্যবসায়ী
মুদাস্সর
এবং
তারিখ
নামের
এক
ছাত্র
২০০৯
সাল
থেকে
সিমির
সদস্য।
তারা
দুজনে
মিলে
ঠিক
করে
সমমনস্ক
সদস্যদের
নিয়ে
একটি
অনলাইন
দল
তৈরি
করবে
তারা।
এইভাবেই
গড়ে
ওঠে
ইলেকট্রনিক
ওয়ারফেয়ার
গ্রুপ।
যদিও
বর্তমানে
পুরোপুরি
কাজ
করছে
না
এই
গোষ্ঠী।
এই
গোষ্ঠীটি
গড়ে
তোলার
পিছনে
আসল
উদ্দেশ্যটা
হল
সমমনস্ক
মানুষদের
সঙ্গে
যোগাযোগ
স্থাপন।
এবং
একই
সঙ্গে
সিমির
বিষয়সূচী
যা
তারা
মনে
করত
মৃতপ্রায়
তা
আরও
বেশি
সংখ্যক
মানুষের
মধ্যে
ছড়িয়ে
দেওয়া।
ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের প্রযুক্তিবিদ মনসুর ফিরভয়ের সঙ্গে তাদের অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক ছিল। এবং মনসুরই তাদের ওই সোস্যাল নেটওয়ার্ক গোষ্ঠী গঠন করার জন্য পরামর্শ দিয়েছিল। বড় বড় জঙ্গী গোষ্ঠীগুলি নিয়োগ ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডের জন্য সোস্যাল মিডিয়ার উপর প্রচণ্ডভাবে নির্ভরশীল। উক্ত দুই ব্যক্তির কাজ ছিল হায়দ্রাবাদে কিছু ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করা এবং নয়া এই মাধ্যমের মধ্য দিয়ে দলের বক্তব্য ছড়িয়ে দেওয়া।
ভারতে
আরও
বড়
ভূমিকা
নিতে
চায়
সিমি
আল
কায়েদা-র
সঙ্গে
সিমি-র
জোট
এবং
এই
জোটের
উপমহাদেশগুলিতে
কাজকর্ম
সঞ্চালনা
করার
বিষয়টি
অত্যন্ত
আকর্ষণীয়।
সিমি-র
দায়িত্ব
ছিল
শুধু
রসদ
জোগানো
এবং
শুধুমাত্র
সেই
দায়িত্ব
পালন
করার
জন্যই
তাদের
বলা
হয়েছিল।
যদিও
সিমি-রই
অনেক
সদস্য
মনে
করতেন
যে
দলের
উচিত
আরও
কোনও
বড়
ভূমিকা
পালন
করা।
আর
সেই
কারণেই
নিজস্ব
শাখা
খোলার
সিদ্ধান্ত
নেয়
তারা
যাতে,
আল
কায়েদা
কাজ
শুরু
করলে
তারা
বড়
ও
শক্তিশালী
বাহিনী
নিয়ে
তৈরি
থাকতে
পারে।
এই মুহূর্তে সোস্যাল মিডিয়ায় সিমি খুব একটা বেশি সক্রিয় নয়। এই ধরণের গোষ্ঠীর মাধ্যমে যাতে তারা নিজেদের আন্দোলনের মেরুকরণ করতে পারে এবং একইসঙ্গে ভারতের মাটিতে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের অসফল হওয়ার ফলে যে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে তা পূরণ করতে পারে তাই ছিল লক্ষ্য।
আইএসআইএস
দ্বারা
অনুপ্রাণিত
সিমি
মুদাস্সর
এবং
তারিকের
১০-১৫
জনের
একটি
দল
ছিল
যারা
প্রত্য়েকেই
মহারাষ্ট্র
থেকে
এসেছে।
যে
সব
যুবরা
আইএসআইএস-এ
যোগ
দেওয়ার
জন্য
সবকিছু
ছেড়ে
ছুড়ে
এসেছিল
তাদের
সক্ষ্য
করছিল
এরা।
এবং
এর
ফলে
তারা
বুঝতে
পারে
পুরো
কর্মকাণ্ডটাই
হয়েছে
অনলাইন
মাধ্যমের
ফলে।
এর
ফলে
সিমি-র
এই
যুবা
সদস্যরা
এই
ধরণের
অনলাইন
নেটওয়ার্ক
তৈরি
করার
জন্য
উৎসাহ
পায়।
এখন
তাদের
সমর্থন
করার
জন্য
অন্য
রাজ্যেও
নজরদারি
চালাচ্ছে
তারা।
ভারতে ক্যাডার খোঁজার ক্ষেত্রে আল কায়েদার একমাত্র সংযোগের মাধ্যম ছিল আল-শাহাহ। সিমি এই খালি জায়গাটা ভরাট করতে এবং এই কথা প্রচার করতে ও তার চেয়েও বেশি কিছু করতে অনলাইনে মঞ্চ গঠন করতে চাইছে। যদিও মুদাস্সর ও তারিকের কথায়, আল কায়েদার ধরণ কখনওই এক্ষেত্রে অনুসরণ করা হয়নি, তারা শুধু চাইছিল অনলাইনে সংগঠনকে জনপ্রিয় করে তুলতে।
ওই দুই ব্যক্তির কথায়, আমরা আমাদের ভাষার প্রচার করতে চেয়েছিলাম এবং আমাদের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট মঞ্চে তৈরি করতে চেয়েছিলাম। এর পাশাপাশি আমরা চেয়েছিলাম আল কায়েদার নেতাদের তথ্য এবং সাহিত্য প্রচার করতে, যারা বারবার ভারতীয়দের যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।