বিয়ের বাজারে এখন ইঞ্জিনিয়ারদের মূল্য কত জানেন কি, সামনে এল অবাক করে দেওয়া তথ্য
মেয়ের বাড়ির লোকেরা আর ইঞ্জিনিয়ার পাত্র চাইছে না। পাত্র ইঞ্জিনিয়ার বলে কেউ যোগাযোগ করলেও ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের আর বিয়ের বাজারে কোনও দাম রইল না। বিভিন্ন ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটগুলির ট্রেন্ড বলছে, মেয়ের বাড়ির লোকেরা আর ইঞ্জিনিয়ার পাত্র চাইছে না। পাত্র ইঞ্জিনিয়ার বলে কেউ যোগাযোগ করলেও ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এমনকী ঘটকদের কাছেও বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন একালের ইঞ্জিনিয়াররা।
এসবের অন্যতম বড় কারণ হল আইটি সেক্টরে কাজের অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়া। স্বয়ংক্রিয়তার দিকে ধীরে ধীরে আইটির কাজের বাজার ঝুঁকছে, তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার আসার পরে ভারতীয়দের সেদেশে কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। দেশীয় কোম্পানিগুলিও মার্কিন যুবক-যুবতীদেরই সুযোগ দিচ্ছে।
আর এসবের বড় প্রভাব পড়ছে ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার পাত্রদের বিয়ের বাজারে। সম্প্রতি একটি ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইটে এক তামিল পরিবার মেয়ের বিয়ের বিজ্ঞাপন দিতে গিয়ে স্পষ্ট লিখেছে, "আইএএস, আইপিএস, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী সব চলবে। তবে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা দয়া করে ফোন করে বিরক্ত করবেন না।"
শাদি ডট কমের সিইও গৌরব রক্ষিত জানিয়েছেন, ২০১৭ সাল থেকেই মেয়েরা বর হিসাবে আইটি কর্মীদের চাইছেন না। এমনকী ভারতে কাজের সুযোগ বাড়ায় অনেকে বিদেশে বিয়ের পর যেতেও চাইছেন না। তাছাড়া ট্রাম্প আসার পর সমস্যা আরও বেড়েছে। হুড়মুড়িয়ে কমছে বিয়ে করে মেয়েদের আমেরিকার মতো বিদেশে থিতু হওয়ার ইচ্ছে।
এক বাঙালি পরিবার এমবিএ পাশ মেয়ের জন্য ছেলে দেখছিলেন। তাঁরাও সযত্নে ইঞ্জিনিয়ার ছেলেদের তালিকা থেকে ছেঁটে ফেলেছেন। মেয়েরা পাত্র পছন্দ করলে তাও ইঞ্জিনিয়ার পাত্র খুঁজছেন, বিশেষ করে যদি বাড়ির অভিভাবকেরা পাত্র খুঁজতে বসেন তাহলে সবার আগে ইঞ্জিনিয়ার পাত্ররাই বাদ পড়ছেন। কাজের বাজার চাঙ্গা না হলে ইঞ্জিনিয়ার পাত্রদের বিয়ের বাজারে দুর্দশা যে চলতেই থাকবে তা বলাই যায়।