'সাহায্য করাতেই সবচেয়ে বেশি আনন্দ' - বন্যাত্রাণে ৫০০০ টাকা দান ক্যানসার আক্রান্ত ভিখারির
কেরলের বন্য়া দুর্গত মানুষদের সাহায্য করতে গুজরাতের এক ক্যানসার আক্রান্ত ভিখারি ৫০০০ টাকা দান করেছে কেরলের বন্যা ত্রাণ তহবিলে।
শরীরে বাসা বেঁধেছে কর্কট রোগ। হাত পাততেই বেশি স্বচ্ছন্দ তিনি। কিন্তু কেরলের বন্য়ায় লক্ষ লক্ষ মানুষের দুর্দশা দেখে সেই তিনিই উপুর করে দিলেন হাত। গুজরাতের সিমান্ধর স্বামী জৈন মন্দিরের বাইরে ভিক্ষা করেন খিমজি প্রজাপতি। কেরলের ত্রাণ তহবিলে দান করলেন ভিক্ষা করে জমানো ৫০০০ টাকা।
মাত্র মাস তিনেক আগের কথা। পেটে অসম্ভব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন প্রজাপতি। ধরা পড়ে পাকস্থলীতে ক্যানসার হয়েছে। এই ৫০০০ টাকা হয়তো তাঁর চিকিৎসায় কিছুটা হলেও সাহায্য করতো। কিন্তু নিজের চিকিৎসার থেকেও বন্যা দুর্গতদের পাশে থাকাটাকেই বেশি জরুরি মনে করেছেন এই ৭১ বছরের বৃদ্ধ।
[আরও পড়ুন:জেল-যোগ রয়েছে কপালে! জ্যোতিষীর পরামর্শে লক-আপে রাত কাটানোর হিড়িক ]
কেরলের বন্য়ার ছবি দেখার সুযোগ তার হয়নি। তবে লোকের মুখে সেই বন্যার ভয়াবহতার কথা শুনেই আর নিশ্চিন্ত থাকতে পারেননি প্রজাপতি। মানসিকভাবে অত্যন্ত ভেঙে পড়েছিলেন। আসলে ভিক্ষা করে দিন কাটালেও তাঁর সবসময় ইচ্ছে হয় অভাবীদের সাহায্য করার। তা করতে পারলে যে আনন্দ পান, তা আর কিছুতে পান না বলে জানিয়েছেন তিনি।
তাই
ওই
৫০০০
টাকার
সম্বল
নিয়ে
তিনি
হাজির
হন
মাহসানার
কালেক্টরের
অফিসে।
জানা
গিয়েছে
ত্রাণ
তহবিলে
ক্যাশ
নেওয়া
হয়
না
বলে,
তাঁর
অনুদান
সরকারের
পক্ষ
থেকে
ব্যাঙ্কে
জমা
করে
তাঁকে
রশিদ
দেওয়া
হয়েছে।
অ্যাডিশনাল
রেসিডেন্স
কালেক্টর
হর্ষদ
ভোরা
ক্যানসার
আক্রান্ত
এই
ভিখারির
প্রশংসায়
ভেসেছেন।
তিনি
জানিয়েছেন,
সমাজের
প্রতি
ভালবাসা,
ত্য়াগ,
নিষ্ঠার
এক
অভুতপূর্ব
দৃষ্টান্ত
স্থাপন
করেছেন
প্রজাপতি।
[আরও পড়ুন: ৮৫ বছর বয়সে 'সেক্স চেঞ্জ' করে মহিলা হলেন ব্রিটেনের জেমস ]
একটি বেসপকারি হাসপাতালে তাঁর ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে। প্রাথমিক খরচটা নিজেই জোগার করেছিলেন। বাকি খরচ দেন সুরাতের এক দয়ালু পরিবার। তবে কেরলের বন্যাত্রাণে দানই প্রথম নয়, বরাবরই অন্যদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে প্রজাপতিকে। রোটারি ক্লাব অব ইন্ডিয়া এর জন্য গত বছর তাঁকে 'লিটারেসি হিরো অ্যাওয়ার্ড' দিয়ে সম্মান জানিয়েছে।
[আরও পড়ুন:কয়েকটা দিনের অপেক্ষা! দুটো বড় উইকেট পড়ার আশায় মুকুল]