আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শোভাযাত্রা–মাইচ করে বিসর্জন চলছে বীরভূমের সিউড়িতে
শোভাযাত্রা করে বিসর্জন চলছে সিউড়িতে
এ বছর করোনা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে হাইকোর্ট থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বিসর্জনে কোনও শোভাযাত্রা বা আড়ম্বর করা যাবে না। খুব সাধারণভাবেই মণ্ডপ থেকে প্রতিমা লরি বা ছোট ট্রেকারে উঠিয়ে সোজা ঘাটে নিয়ে যাওয়া হবে। শহর কলকাতাতেওএকই নিয়মে হয়েছে প্রতিমা বিসর্জন। কিন্তু আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বীরভূমের সিউড়িতে চলছে ঠাকুর বিসর্জন পর্ব।
শোভাযাত্রা,
ব্যান্ড
পার্টি,
মানুষের
সমাগম
সবই
রয়েছে
সেই
বিসর্জন
পর্বে।
সিউড়ির
বিভিন্ন
জায়গা
থেকে
পুজোকমিটির
মানুষ
শোভাযাত্রা
করে
ঘাটে
প্রতিমা
নিরঞ্জনের
জন্য
আসছেন।
কোনও
কোনও
পুজো
কমিটির
সদস্যরা
নাচ–গানও
করছেন।
বিসর্জন
দেখতে
জমায়েত
হয়েছেন
প্রচুর
মানুষ।
নেই
মাস্ক,
নেই
সামাজিক
দুরত্বের
বালাই।
বংশ
পরম্পরায়
এভাবেই
চলে
আসছে
বিসর্জন
পর্ব।
প্রতিমা
কাঁধে
করে,
শোভাযাত্রা
করে
আসার
পর
তবেই
ঘাটে
পড়ছে
প্রতিমা।
তা
দেখতে
দূর
দূরান্ত
গ্রাম
থেকে
মানুষ
আসে
এখানে।
স্থানীয় প্রশাসন তৎপর হলেও এই দীর্ঘদিনের প্রথাকে ভাঙতে পারছেন না। স্থানীয় এক মানুষ জানান, পাঁচশো বছরের বেশি সময় ধরে এভাবেই বিসর্জন পর্ব হচ্ছে। এখানে কাঁধে করে প্রতিমা নিয়ে আসা হয়, মাইচ করে তারপর ঘাটে বিসর্জন হয় এবং এটাই সিউড়ির মূল আকর্ষণ। এই বিসর্জন দেখতে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়। তিনি জানান, মানুষের আবেগকে ধরে রাখা যাচ্ছে না। তবে এর মধ্যেও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে, তৎপর আছে পুলিশ–প্রশাসন।