কেষ্ট মণ্ডলের লটারি প্রাপ্তির রহস্যভেদে তদন্ত CBI-এর! অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ৪ তৃণমূল নেতা-কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ
গরুপাচার টাকা কোথায় গিয়েছে, কার কার কাছে গিয়েছে, তার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। সেই তদন্ত করতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের বারে বারে লটারি প্রাপ্তির রহস্য ভেদ করতে চাইছে তারা। স্বাভাবিক কারণেই নিশানায় কেষ্ট মণ্ডলের ঘনিষ্ঠরা।
বারে বারে লটারি জিতেছেন অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তার মধ্যে এককোটি জিতেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল নিজেই। সিবিআই-এর দাবি, এইসব টাকা সবাই গরুপাচারের। তবে পুরো চক্রে অনুব্রত মণ্ডল একা নন, ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মীরা জড়িত। এমনই চারজনকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁদের সবাইকে বোলপুরে সিবিআই-এর অস্থায়ীয় ক্যাম্পে ডাকা হয়।
বিজয় রজক
এই ব্যক্তি বোলপুরে তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত। গোয়েন্দাদের দাবি তিনি অনুব্রত মণ্ডলের পরিচারক হিসেবেও কাজ করতেন। সিবিআই সূত্রের দাবি, ব্যাঙ্কে বিজয় রজকের নামে অ্যাকাউন্টে টাকা রাখা কিংবা অপারেট করা, সবটাই করতেন অনুব্রত মণ্ডল। তা নিয়ে সঠিক তথ্য জানতেই এদিন বিজয় রজককে তলব করা হয়েছিল বোলপুরে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে।
অর্ক দত্ত
অর্ক দত্তের পরিচিতি তৃণমূল কর্মী হিসেবে। গোয়েন্দাদের দাবি তিনি অনুব্রত মণ্ডলের আপ্ত সহায়ক হিসেবেও কাজ করতেন। এই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেও বহু টাকার লেনদেন হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়
বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় বোলপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। সিবিআই-এর দাবি বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে একটি গাড়ি কিনেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই গাড়ির টাকার উৎস কি গরুপাচারের টাকা, সেই তথ্য জানতে ওই নেতাকে এদিন তলব করা হয়েছিল সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে।
শুভঙ্কর ঘোষ
শুভঙ্কর
ঘোষ
হলেন
বোলপুরের
বাহিরি
গ্রাম
পঞ্চায়েতের
তৃণমূল
প্রধান।
গোয়েন্দাদের
দাবি,
পঞ্চায়েত
প্রধান
হলেও,
লটারিতে
অনুব্রত
মণ্ডলের
১
কোটি
টাকা
পাওয়ার
বন্দোবস্ত
করে
দিয়েছিলেন
এই
শুভঙ্কর
ঘোষই।
বিনিময়ে
এই
নেতা
কী
পেয়েছিলেন,
তা
নিয়ে
জিজ্ঞাসাবাদ
করা
হয়
এই
নেতাকে।
প্রসঙ্গ
ক্রমে
বলে
রাখা
ভাল,
গত
কয়েকমাস
অনুব্রত
মণ্ডল
জেলে
থাকলেও
তাঁকে
এখনও
জেলা
সভাপতির
পদ
থেকে
সরানো
হয়নি।
তবে
সম্প্রতি
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
বোলপুর
সফরের
সময়
তাঁর
কোনও
ছবি
দলীয়
পোস্টার-ব্যানারে
দেখা
যায়নি।
সিবিআই তদন্তে তথ্য
সিবিআই সূত্রে খবরয় এই চার নেতা-কর্মী সবারই সমবায় ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং সেইসব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোটি-কোটি টাকার হাতবদল হয়েছে। সেইসব টাকার উৎস জানতেই এদিন এই চারজনকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। বীরভূমের কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের সিউড়ি শাখায় এখনও পর্যন্ত সিবিআই আধিকারিকার দু-দফায় ৩৩০ টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছেন। গোয়েন্দাদের দাবি, গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করতেই এইসব অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। এইসব অ্যাকাউন্টের মধ্যে অনেকেই নিজেদের অ্যাকাউন্ট নিয়ে কিছুই জানেন না। কিংবা তাঁরা সই পর্যন্ত করতে জানেন না। অথচ তাঁদের নকল সই দিয়েই অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে টাকা তোলার কাজ হয়েছে। এদিন সিবিআই আধিকারিকরা বোলপুরে একাধিক জায়গায় তল্লাশিও চালান বলে জানা গিয়েছে।
প্রতীকী ছবি
Election 2023: মেঘালয়-নাগাল্যান্ডে একক লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি