সাঁইথিয়ায় বিজেপির প্রতিনিধি দলকে 'বাধা', তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ
বিজেপর কেন্দ্রীয় দলকে বাঁধা। রামপুরহাট যাওয়ার সময়ে সাঁইথিয়াতে সেই দলকে আটকানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা।
বিজেপর কেন্দ্রীয় দলকে বাঁধা। রামপুরহাট যাওয়ার পথে সাঁইথিয়াতে সেই দলকে আটকানোর অভিযোগ। তৃণমূল ষড়যন্ত্র করে তাঁদের পথ আটকেছে বলে অভিযোগ। আর এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা। আর এরপরেই ধর্নায় বসে পড়লেন বিজেপি নেতৃত্ব।
সাঁইথিয়া থানার সামনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ চলছে। তাঁর দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত পুলিশের তরফে পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে ততক্ষণ ধর্না চলবে।
রামপুরহাট-কাণ্ডে ইতিমধ্যে নড়েচড়ে বসেছে বিজেপি। একেবারে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তাই ঘটনার পরেই 'ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং' টিম তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।
চার প্রাক্তন আইপিএসকে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে দলটি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে এই টিম রামপুরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু সাঁইথিয়াতে ঢোকার মুখে ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁদের আটকানোর চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ।
জাতীয় সড়কের উপর একটি গাড়িকে ইচ্ছাকৃত খারাপ করে রেখে যানজট তৈরি করা হয় বলেও অভিযোগ। আর তা নেমে বিজেপি নেতারা দেখতে গেলে স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা তাঁদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ বিজেপির।
আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে থাকা সুরক্ষাকর্মীদের সঙ্গে তীব্র বচসা হয়। এবং যা নিয়ে কার্যত পরবর্তীকালে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে অভিযোগ। এরপর তৃণমূল নেতা-কর্মীরা সাঁইথিয়া থানায় পালিয়ে আসে বলে অভিযোগ। আর এরপর সেখানেই বসে পড়েন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ভারতের বিভিন্ন অংশ থেকে পুলিশের প্রাক্তন কর্তারা এসেছেন ঘটনাস্থলে। তাঁদের কোনও সুরক্ষার ব্যবস্থাই করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁর। যতক্ষণ না পর্যন্ত পর্যন্ত পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুলিশের তরফে করা হবে না ততক্ষণ এই ধর্না চলবে বলে দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতির।
শুধু তাই নয়,তাঁর দাবি, নাটক করছেন মুখ্যমন্ত্রী! ২০১৫ সাল থেকে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। রাজ্যে গুন্ডারাজ চলছে বলেও দাবি বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদের।
তবে এদিনের বিজেপি কর্মসূচি ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, এদিন রামপুরহাটের অভিশপ্ত গ্রামে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে একেবারে সরজমিনে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের পাশে থাকারও বার্তা দেন তিনি। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে ক্ষতিপুরণের চেকও তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।