পানামা নথি কাণ্ডে ঐশ্বর্যকে ছয় ঘণ্টা ম্যারাথন জেরা ইডির
পানামা নথি কাণ্ডে দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের। সোমবার দিল্লির লোকনায়ক ভবনে ইডির দফতরে যান ঐশ্বর্য। তাঁর বিরুদ্ধে ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (ফেমা) লঙ্ঘন করে বিদেশে সম্পদ লুকিয়ে রাখার অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।


কী কী প্রশ্ন করা হয় ঐশ্বর্যকে?
এদিন ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে এদিন বেশ কিছু প্রশ্ন করেন ইডির তদন্তকারী অফিসাররা।
ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের একটি কোম্পানি অ্যামিক পার্টনারস নামক কোম্পানির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কী?
২০১৬ সালে 'মোসাক ফনসেকা' নামের সংস্থাটি থেকে 'পানামা পেপার্স' ফাঁস হয়েছিল। এই কোম্পানির সঙ্গে কী কিছু সম্পর্ক আছে?
কোম্পানির পরিচালকদের মধ্যে তিনি ছাড়াও রয়েছেন ঐশ্বর্যর বাবা-মা ও ভাই। এই সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য কী?
পরিচালক পদ থেকে আচমকা ঐশ্বর্য রাই বচ্চন শেয়ারহোল্ডার হলেন কেন?
২০০৫ সালে জুন মাসে এই বদল কেন করা হয়?
২০০৮ সালে কোম্পানিটি কেন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে?
আর্থিক লেনদেনের জন্য কি আরবিআই থেকে কোনও রকম অনুমতি চাওয়া হয়েছিল?
তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও তাঁকে দুবার তাঁকে তলব করা হয়েছিল। তবে, তখনও তিনি হাজিরার জন্য সময় চেয়েছিলেন। পানামা নথি হল ১ কোটি ১৫ লক্ষ গোপন নথি, যা ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে ফাঁস হয়েছিল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ২০১৭ সালে বৈদেশিক মুদ্রা লঙ্ঘনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে।
প্রসঙ্গত,যে ৪২৬ জন ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত মাল্টি-এজেন্সি গ্রুপ (এমএজি) এর তদন্তের অধীনে রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে মোট ১ হাজার কোটি টাকার ব্ল্যাক মানি হেরফেরের অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও দুবার পানামা পেপারস মামলায় ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু দুবারই তিনি হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। এমনকি পানামা পেপারস মামলার তদন্তকারী বিশেষ তদন্ত দলের কাছে স্থগিতাদেশের আবেদন করা হয়। কিন্তু সেই আদেশ নাকচ করে দেয় ইডি।