Cryptocurrency আসলে কি? কীভাবে গোটা প্রক্রিয়া চলে এবং কেনাই বা যায় কীভাবে?
আগামী অর্থ বছরের দিকে তাকিয়ে বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। একগুচ্ছ বিষয়কে মাথায় রেখে কার্যত সাবধানী বাজেট পেশ তাঁর। তবে এদিন নির্মলা সীতারমণ তাঁর বাজেট ভাষণে Digital Currency-এর বিষয়ে কথা বলেন। বলেন, খুব শ
আগামী অর্থ বছরের দিকে তাকিয়ে বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। একগুচ্ছ বিষয়কে মাথায় রেখে কার্যত সাবধানী বাজেট পেশ তাঁর। তবে এদিন নির্মলা সীতারমণ তাঁর বাজেট ভাষণে Digital Currency-এর বিষয়ে কথা বলেন। বলেন, খুব শিঘ্রই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ডিজিটাল কারেন্সি আসবে বাজারে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া নয়া আর্থিক বছরের (Financial Year 2022-2023) শুরুতেই এই Digital Currency লঞ্চ করবে বলেও জানিয়েছেন নির্মলা তাঁর বাজেট ভাষণে।
ডিজিটাল টাকাকে Blockchain কিংবা Blockchain Technology-এর মাধ্যমে বাজারে ছাড়া হবে। আর এতে ডিজিটাল ইকোনমিতে বড়সড় একটা পরিবর্তন আসবে বলেই মত অর্থনীতিবিদদের।
ডিজিটাল কারেন্সি আসলে কি?
Cryptocurrency- আর্থিক লেনদেনের একটি মাধ্যম। যা একেবারে ভারতীয় টাকা এবং আমেরিকার ডলারের সমান। তবে সবটাই ভার্চুয়াল। কিছুই দেখা যায় না। এমনকি এই ব্যবস্থাকে ছোঁয়াও যায় না। আর সেই কারনে একে ডিজিটাল কারেন্সি হিসাবেও বলা হয়ে থাকে। ডিজিটাল কারেন্সির পুরো নাম হল সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি (Central Bank Digital Currency or CBDC)। এটি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জারি করে কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের লেনদেনে সবুজ সঙ্কেত থাকে। তবে পুরো বিষয়টিই অনলাইনের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
তবে এটি দুই প্রকারের হয়ে থাকে। রিটেল এবং হোলসেল। রিটেল ডিজিটাল কারেন্সি সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন সংস্থার জন্যে হয়ে থাকে। অন্যদিকে হোলসেল ডিজিটাল কারেন্সির ব্যবহার বিভিন্ন financial সংস্থাতে হয়ে থাকে। আর তা হয়ে থাকে ব্লকচেনের মাধ্যমে।
সবথেকে জনপ্রিয় ডিজিটাল কারেন্সি বিটকয়েন
বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে মূল্যবান এবং সবথেকে জনপ্রিয় ক্রিপ্টো কারেন্সি হল বিটকয়েন। জনপ্রিয়তার তালিকাতে দ্বিতীয় স্থানে যে ক্রিপ্টো কারেন্সি রয়েছে তা হল ethereum। এছাড়াও একাধিক ডিজিটাল মুদ্রা রি মুহূর্তে বিশ্বের অর্থনীতিতে রয়েছে। যদিও শুরুতে বিট কয়েনের ক্রিপ্টো বাজারে নিয়ে আসা হয়েছিল। যদিও এই মুহূর্তে কয়েক হাজার ডিজিটাল মুদ্রা বাজারে চলে এসেছে। বিশ্বের একাধিক দেশে এই মুহূর্তে ক্রিপ্টোর ব্যবহার ভয়ঙ্কর ভাবে বেড়ে গিয়েছে। এবার সেই তালিকাতে ভারতও।
কম্পিউটারের মাধ্যমে কাজ চলে-
খুব সহজ ভাষাতে বলতে গেলে ক্রিপ্টো কারেন্সি এক প্রকার ডিজিটাল ক্যাশ প্রণালি। computer algorithms-এর মাধ্যমে এটিকে তৈরি করা হয়। এবং অবশ্যই একটি চেন। এর উপর কোনও দেশ কিংবা সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তবে এতটাই এই ডিজিটাল লেনদেন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে একাধিক দেশ আইননত মান্যতা দিয়েছে। ভারতও এই বিষয়ে কাজ করছে। খুব শিঘ্রই এই সংক্রান্ত বিলও তাঁরা নিয়ে আসবে।
ব্লকচেনের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়-
ক্রিপ্টো কারেন্সি লেনদেন করার জন্যে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে তা হল ব্লকচেন কিংবা ব্লকচেন প্রযুক্তি। ডিজিটাল কারেন্সি কোডেড হয়ে থাকে। পুরোটাই কপমিউটারের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে। প্রত্যেকদিন ডিজিটাল সাক্ষরের মাধ্যমে ভেরিফাইড করা হয়ে থাকে। ক্রিপ্টোগ্রাফির মাধ্যমে এর সমস্ত রেকর্ড নিয়ন্ত্রন করা হয়। পুরো কাজটাই কপমিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে যে কোনও লেনদেন ব্লকচেনের মাধ্যমে রেকর্ড করা হয়ে থাকে।
কীভাবে ক্রিপ্টো কারেন্সি কেনা হয়ে থাকে-
ক্রিপ্টো কারেন্সি কেনার দুটি পদ্ধতি। তবে সবথেকে সহজ পদ্ধতি হল ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে কিনে ফেলা। এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে কয়েকশ ক্রিপ্টো কারেন্সি এক্সচেঞ্জ কাজ করছে। ভারতেও এমন বহু সংস্থা রয়েছে। যারা এই ক্রিপ্টো কারেন্সি কেনার বিষয়ে কাজ করছে। যেমন- WazirX, Zebpay, CoinSwitch Kuber, Coin DCX GO। তবে খুব শিঘ্রই এই বিষয়ে ভারত সরকার নীতি নিয়ে আসছে। যেখানে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবে।
বিটকয়েন তৈরি হয় মাইনিংয়ের মাধ্যমে
বলা হয়ে থাকে যে বিটকয়েন তৈরি হয় মাইনিংয়ের মাধ্যমে। যেখানে কম্পিউটারের প্রসেসিং ক্ষমতার ভিত্তিতে লেনদেন রেজিস্টার করা হয়। লেনদেন থেকে মোট কত বিটকয়েন তৈরি হবে তার নির্দিষ্ট মাপ রয়েছে। বল হয় যে প্রতি চার বছর পরপর তা কমে যায়। আগামী একশো বছরের কিছু বেশি সময় পরে আর বিটকয়েন তৈরি হবে না।