এলপিজির বিকল্প এখন বাস্তব, রান্নাঘরের খরচ কমাতে নিতে পারেন ব্যবস্থা
এলপিজির বিকল্প এখন বাস্তব, রান্নাঘরের খরচ কমাতে নিতে পারেন ব্যবস্থা
সারা দেশেই এলপিজির (LPG) দাম ক্রমবর্ধমান। পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব জনসাধারণের পকেটে। সেই পরিস্থিতিতে পিএনজি (PNG) ভাল বিকল্প হতে পারে। পিএনজির অর্থ হল পাইপের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস। যা তুলনামূলকভাবে এলপিজির থেকে সস্তা (Cheap)।
দামে পার্থক্য রয়েছে
দিল্লিতে ভর্তুকি ছাড়া এলপিডির ১৪.২ কেজির সিলিন্ডারের গাম ৮৯৯.৫০ টাকা। আর বাংলায় তা ৯২৬ টাকা। দিল্লির নিরিখে এক কেজি গ্যাসের গাম ৬৩.৩৫ টাকা। এর সঙ্গে তুলনায় ইন্দ্রপ্রস্থ গ্যাস লিমিটেডের দাম প্রতি স্ট্যান্ডার্ড ঘনমিটারে ৩৫.৬১ টাকা, সাম্প্রতিক সময়ে দাম বৃদ্ধির পরেও।
পিএনজি, এলপিজির তুলনায় সস্তা
১ কেজি এলপিজি ১.১৬ স্ট্যান্ডার্ড কিউবিক মিটারের সমান। সেক্ষেত্রে ১ কেজি এলপিজির সমান, এক কেজি পিএনজির গাম পড়বে ৪১.৩০ টাকা। যেখানে দিল্লির নিরিখে ১ টি সিলিন্ডারের জন্য ৮৯৯.৫০ টাকা দিতে হয়, সেই জায়গায় সম পরিমাণ পিএলজির জন্য দিতে হবে মাত্র ৫৮৬.৪৬ টাকা। সেক্ষেত্রে প্রতিমাসে সাশ্রয় হতে পারে ৩১৩.০৪ টাকার মতো।
পিএনজিকে ব্যবহার অনুযায়ী খরচ
পিএনজিতে বিদ্যুতের মতো ব্যবহার অনুযায়ী টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ কম ব্যবহারের জন্য কম টাকা আর বেশি ব্যবহারের জন্য বেশি টাকা। অন্যদিকে শীতে এলপিজি সিলিন্ডারে গ্যাস জমে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলেও, পিএনজিতে তেমন কোনও সমস্যা নেই। এর জন্য রান্না ঘরে আলাদা করে জায়গা রাখারও প্রয়োজন নেই।
দেশের ৭০ শতাংশের কাছে পিএনডি পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা
বর্তমানের মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা হল দেশের ৭০ শতাংশ মানুষের কাছে পিএনজি পৌঁছে দেওয়া। দেশের প্রায় ৪০০ টি জেলায় প্রায় ৪ কোটি পিএনজি সংযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সাম্প্রতিক সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে গ্যাস বিতরণের জন্য সম্ভাব্য লাইসেন্স নেওয়া কোম্পানিগুলির ১১ তম বৈঠক হয়েছে। দেশের ২৭ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ২২৮ টি এলাকার জন্য বিভিন্ন সংস্থাকে সিএনজি এবং পিএনজির লাইসেন্স দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।