ভূত চতুর্দশীর দিন নরক চতুর্দশী পালনের নেপথ্যে কোন পৌরনিক কাহিনি রয়েছে
ভূত চতুর্দশীর দিন নরক চতুর্দশী পালনের নেপথ্যে কোন পৌরনিক কাহিনি রয়েছে
বাঙালির ঘরে ঘরে ভূত চতুর্দশীর দিন ১৪ শাক খাওয়া থেকে শুরু করে ১৪ প্রদীপ জ্বালানো পর্যন্ত একাধিক নিয়ম রীতি পালিত হয়। তবে এই দিনটিকে দেশের বহুস্থানে নরক চতুর্দশী হিসাবেও পালন করা হয়। ভূত চতুর্দশী ঘিরে বলি দানবের কাহিনি অনেকেই জানেন। তবে নরক চতুর্দশী ঘিরে কোন কোন কাহিনী প্রচলিত রয়েছে দেখা যাক।
নরকাসুরের কাহিনি
বরাহ এবং ভূদেবীর সন্তান নরকাসুর। বরাহ মূলত বিষ্ণুর আরও এক অবতার। যতই দিন যায় নরকাসুরের তেজ বাড়তে থাকে। এদিকে তপস্যা করে প্রতাপতি ব্রহ্মার থেকে নরকাসুর এমন বরলাভ করেন যাতে তার মান ভূদেবী ছাড়া নরকাসুরকে কেউ হত্যা করতে পারবে না। এরপর ধ্বংসলীলায় মতে ওঠে নরকাসুর।
এরপর কী ঘটে?
এরপর যতই শক্তি সঞ্চয় করে এঅই দানব ততই তার ধ্বংস বাড়তে থাকে। একবার শ্রীকৃ্ষ্ণকে সে আক্রমণ করতে যায়। তখনই নরকাসুরের মা ভূদেবীর রূপ ধারণ করে অসুর দমন করেন শ্রীকৃষ্ণ। এরপর শ্রীকৃষ্ণ সত্যভামা রূপে নরকাসুরের কাছে অবতীর্ণ হন। সেই সময় বলি রাক্ষসের মতো মতো নরকাসপরও একই বর চান।
কী বর চান নরকাসুর?
কথিত
রয়েছে,
শ্রীকৃষ্ণের
কাছে
নরকাসুর
অনুরোধ
করেন
যে,
পৃথিবীতে
এমন
একটি
দিন
যেন
তার
নামে
দেওয়া
হয়,
যেদিন
নরকাসুপরকে
সকলে
পুজো
করবে।
আর
এভাবেই
নরকাসুর
অমর
হয়ে
থাকবে।
'তথাস্তু'
বলে
দেন
শ্রীকৃষ্ণও।
এরপরই
নরক
চতুর্দশীর
দিন
নরকাসুরের
উদ্দেশে
পুজোপাঠ
হয়।
যাতে
আসুরিক
অন্ধকার
বিশ্বের
ক্ষতি
সাধন
না
করে।
চতুর্দশীর পুজো
বহু জায়গায় ছোটি দিওয়ালি হিসাবে নরক চতুর্দশী পুজো হয়। মূলত দক্ষিণ ভারতে আড়ম্বর সহকারে নরকচতুর্দশী পালিত হয়। এদিন বহু বাড়িতে অলক্ষ্মীর পুজো বা যমের পুজো করে তাঁদের তুষ্ট রাখা হয়।