রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো, জেনে নিন দেবতাদের বাস্তুকারের কয়েকটি পৌরানির কীর্তি
রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো, জেনে নিন দেবতাদের বাস্তুকারের কয়েকটি পৌরানির কীর্তি
রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো। প্রতিবছর ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতেই হয়ে থাকে বিশ্বকর্মা পুজো। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি প্রায় সারা। সকাল হলেই শুরু হয়ে যাবে পুজো। বিশ্বকর্মাকে দেবতােদর স্থপতি বা বাস্তুকার বলা হয়। তাঁর অমর সৃষ্টির কাহিনী পুরানে বলা হয়েছে। সত্য,ত্রেতা, দ্বাপর এবং কলি এই তিন যুগেই নাকি বিশ্বকর্মার সৃষ্টি ছড়িয়ে রয়েছে।
পুরানে কথিত আছে দেবতাদের বাসভূমি স্বর্গ তৈরি করেছিলেন বিশ্বকর্মা। বিশ্বকর্মা সেরা সৃষ্টি বলা হয়ে থাকে এই স্বর্গলোককে। দেবরাজ ইন্দ্র হলেন এই স্বর্গের অধিপতি। সেখান থেকেই তিনি মর্ত্যলোক শাসন করতেন। দেবরাজ ইন্দ্রের সভাও নির্মাণ করেছিলেন বিশ্বকর্মা। সত্যযুগে এই স্বর্গ তৈরি করেছিলেন তিনি।
এর পর ত্রেতা যুগে বিশ্বকর্মা তৈরি করেন সোনার লঙ্কা। যাকে রাবণের রাজধানী বলা হয়ে থাকে। পৌরানিক মতে এই সোনার লঙ্কা কিন্তু রাবণ তৈরি করেননি। দেবরাজ ইন্দ্র শিব-পার্বতীর বিয়ের পর এই প্রাদাস নির্মাণ করেছিলেন। শিব পার্বতী সেই প্রাসাদের গৃহপ্রবেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাবণকে। তখনই মহাদেবের কাছে স্বর্ণ লঙ্কা দান হিসেবে চেয়েছিলেন রাবণ। মহাদেব শেষ পর্যন্ত েসই স্বর্ণলঙ্কা তুলে দেন মহাদেবের হাতে। তারপর থেকেই রাবণের প্রাসাদ বলা হয়ে থাকে সোনার লঙ্কা।
দ্বাপর যুগে বিশ্বকর্মা সৃষ্টি করেছিলেন দ্বারকা। শ্রীকৃষ্ণের রাজধানী বলা হয়ে থাকে দ্বারকাকে। যাকে বলা হয় শ্রীকৃষ্ণের অমর সৃষ্টি। মহাভারতে দ্বারকাই কৃষ্ণের কর্মভূমি বলা হয়। এখনও মানুষ দেখতে যান দ্বারকা ভূমি। তবে বলা হয়ে থাকে আসল দ্বারকা ভূমি সমুদ্রের গর্ভেই তলিয়ে গিয়েছে। শ্রীকৃষ্ণ নিজেই দ্বারকা ডুবিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন বলে বলা হয়ে থাকে।
আর
কলিযুকে
বিশ্বকর্মার
অমর
সৃষ্টি
ছিল
হস্তিনাপুর
ও
ইন্দ্র
প্রস্থ।
কৌরবদের
রাজধানী
হস্তিনাপুর
তৈরি
করেছিলেন
বিশ্বকর্মা।
সেই
হস্তিনাপুর
ঘিরেই
আবর্তিত
হয়েছিল
মহাভারতের
সব
কাহিনী।
কুরুক্ষেত্রের
যুদ্ধের
আগে
হস্তিনাপুর
প্রাসাদও
তৈরি
করেছিলেন
বিশ্বকর্মা।
যাকে
পাণ্ডবদের
রাজধানী
বলা
হয়ে
থাকে।
পাণ্ডবদের
থাকার
জন্য
ধৃতরাষ্ট্র
একটুকরো
জমি
দিয়েছিলেন।
সেটা
ছিল
খান্ডব
বন।
সেখানে
প্রাসাদ
তৈরির
জন্য
বিশ্বকর্মা
তৈরি
করেছিলেেন
ইন্দ্রপ্রস্থের
প্রাসাদ।
প্রাসাদের
মধ্যে
দিয়ে
নদী
বইতে
দেখা
গিয়েছে।
কথিত আছে ভূবন তৈরি করেছিলেন বিশ্বকর্মা। আর সেটা তৈরির জন্য বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিবের ত্রিশূল, কুবেরের অস্ত্র, ইন্দ্রের বজ্র, কার্তিকের শক্তি দিয়ে তিনি তৈরি করেছিলেন বিশ্ব। পুরীর জগন্নাথের মূর্তিও নাকি বিশ্বকর্মা তৈরি করেছিলেন। স্থাপত্য বেদের রচয়িতানাকি বিশ্বকর্মা। সেকারণেই তাঁকে ব্রহ্মান্ডের বাস্তুকার বলা হয়ে থাকে।