ভিতরকণিকার বাহিরপথে পর্যটকদের ভিড় বেড়েই চলেছে, জেনে নিন কারণ
ভিতরকণিকার বাহিরপথে পর্যটকদের ভিড় বেড়েই চলেছে, জেনে নিন কারণ
করোনা ভাইরাসের প্রভাব কিছুটা শিথিল হতেই ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির উড়ু উড়ু মন। চটজলদি পরিকল্পনা করে জঙ্গল, পাহাড়, সাগরপানে বেরিয়ে পড়লেই হল। তবু ব্যস্ততায় আটকে যাচ্ছে বাসনা। মনে খুঁজছে এক-দুই দিনের অবকাশ। তাঁদের জন্যই স্বল্প দৈর্ঘ্যের সেরা ভ্রমণের ঠিকানা হতে পারে ওড়িশার ভিতরকণিকা ম্যানগ্রোভ।
অবস্থিতি
ওড়িশার চাঁদিপুর ও পারাদ্বীপের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ভিতরকণিকা। ব্রাহ্মণী ও বৈতরণী নদীর মাঝের ব-দ্বীপে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে এই ম্যানগ্রোভ অরণ্য। ৬৫০ বর্গ কিলোমিটার (৪০০ বর্গ মাইল) যার বিস্তার।
ইতিহাস
ভিতরকণিকা ম্যানগ্রোভ ১৯৫২ সাল পর্যন্ত জমিদারদের মালিকানাধীন ছিল। ওড়িশা থেকে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে এই বনের নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে চলে যায়। ১৯৭৫ সালে ভিতরকণিকা ম্যানগ্রোভকে অভয়ারণ্য বলে ঘোষণা করা হয়। অরণ্যের ১৪৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বরে জতীয় উদ্যান বলে ঘোষণা করে সরকার। ২০০২ সালে ভিরতকণিকা অভয়ারণ্যকে আন্তর্জাতিক গুরুত্বের নিরিখে রামসার জলাভূমি হিসেবে মনোনিত করা হয়েছিল।
কীভাবে যাবেন
কলকাতা থেকে ট্রেনে বা ফ্লাইটে পৌঁছতে হবে ভূবনেশ্বর। সেখান থেকে রত্নগিরিমুখী ট্যাক্সি ভাড়া করতে হবে। সেখানে এক রাত থেকে পরের দিন ভিতরকণিকা ম্যানগ্রোভের শোভা দেখতে রওনা হন পর্যটকরা।
কী কী দেখবেন
ভিতরকণিকা অভয়ারণ্যে আভিসেননা, ব্রুগুয়েয়ার, হরিটিয়ার সহ বিশ্বের ৬২টি প্রজাতির ম্যানগ্রোভের দেখা মেলে। সেই বনে নড়েচড়ে বেড়ানো নোনা জলের কুমীর, কিং কোবরা, ভারতীয় পাইথন এবং বড় গুইসাপ পর্যটকদের মুখ্য আকর্ষণ। এছাড়াও এই বনে প্রায় ২৬০টি প্রজাতির পাখির আনাগোনা লেগেই রয়েছে। প্রতি ঋতুতে এই বনে ডিম পাড়তে আসে কয়েক লাখ অলিভ রেডলি কচ্ছপ। কপাল ভাল থাকলে তাদের দেখা মিলবে। তবে কচ্ছপের ডিম সংগ্রহ এবং বিপণন নিষিদ্ধ বলে গণ্য করা হয়েছে।
সানি লিওনির অদেখা নানা মুহূর্তের ছবি
ছবি সৌ:ইউটিউব