রাজ্যে ফের করোনার কড়াকড়ি, অনিশ্চয়তার মুখে টেলিপাড়া
রাজ্যে ফের করোনার কড়াকড়ি, অনিশ্চয়তার মুখে টেলিপাড়া
রাজ্যে লাগাতার বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। আর এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বছরের প্রথম সপ্তাহের প্রথমদিন, অর্থাৎ ৩রা জানুয়ারি সোমবার থেকে রাজ্য জুড়ে কড়া নিরাপত্তার নির্দেশিকা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই মত ফের রাজ্য শুরু হয়েছে 'আংশিক লকডাউন'এর পরিস্থিতি। বন্ধ রাখা হয়েছে জিম, স্পা, বিউটি পার্লার। পাশাপাশি মাত্র ৫০ জন লোক সংখ্যা নিয়ে বিয়ে, অনুষ্ঠান বা অন্য যেকোনো জমায়েত করার নির্দেশিকা জজারি করেছে নবান্ন। আর এই নির্দেশ বলবত হওয়ার পর থেকেই ফের অনিশ্চয়তার ভাঁজ টেলি পাড়ায়।
অনিশ্চয়তায় সিরিয়ালের শ্যুটিং
সোমবার থেকে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে গোটা বাংলা জুড়ে। সেই তালিকা থেকে বাদ নেই বিনোদন জগতও। বিনোদন জগতের উপর জারি হয়েছে প্রচুর বিধিনিষেধ। ফলে আবারও সমস্যায় পড়েছেন টলিউডের কলাকূশলীরা। সরকারের জারি করা একগুচ্ছ বিধিনিষেধের ফলে আগামীতে কীভাবে বজায় থাকবে শ্যুটিং, তা নিয়ে মাথায় হাত ধারাবাহিক নির্মাতা থেকে অভিনেতা অভিনেত্রীদের।
রাত্রিকালীন নিষেধাজ্ঞা
বিধিনিষেধের মধ্যে বলা হয়েছে, রাত দশটার পর বন্ধ থাকবে শপিং মল। রাত ১০টার পর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে লোকাল ট্রেন চলাচল। কমিয়ে দেওয়া হয়েছে লোকাল ট্রেনের সংখ্যাও। পঞ্চাশ শতাংশ দর্শক নিয়ে খোলা রাত দশটা অবধি খোলা থাকবে সিনেমা হল। যদি রাত ১০টার পর থেকে সব যানবাহন এবং অন্যান্য পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে ধারাবাহিকের সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ বাড়ি ফিরবেন কীভাবে সেটাও বড় প্রশ্ন। সাধারণত অনেক ক্ষেত্রে আউটডোর শ্যুটিংও হয়। সেই মত বাইরে যেতে হয় সিরিয়ালের গোটা ইউনিটকে। কিন্তু এবার সেক্ষেত্রেও বিধিনিষেধের বেড়াজালে আটকে গেলেন ধারাবাহিক নির্মাতারা। ফলে আবার নতুন করে তাঁদের সাজাতে হবে স্টোরি লাইন।
প্রশ্নের মুখে জীবিকা
কলাকূশলীদের মতে যেকোনো শুটিং একটি টিমওয়ার্ক। তাই এরকম কড়া বিধিনিষেধ জারি হওয়ার ফলে শ্যুটিং ফ্লোরে ৫০ জনের বেশি একসঙ্গে জমা হতে পারবেননা। ফলে সেক্ষেত্রে শ্যুটিং বন্ধ রাখা ছাড়া আর অন্য কোনও পথ খোলা থাকবেনা তাঁদের কাছে। আর অগত্যা আবার সেই অভিনেতা অভিনেত্রীদের বাড়ি থেকে শ্যুটিং করতে হবে। যার ফলে খুব মান খারাপ হয়ে যায় কাজের। তার উপর অনেক টেকনিশিয়ানরা আছেন যারা দিন অনুযায়ী কাজের টাকা পান। প্রতি রাতে গাড়ি করে বাড়ি যাওয়ার মত ক্ষমতাও নেই বহু কলাকূশলীদের। তাই এই কড়াকড়ির চোটে কী করবেন, তা ভেবেই দিশেহারা তাঁরা।