সৌরজগতের বাইরের গ্রহে কার্বন ডাই অক্সাইডের সন্ধান! কামাল জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের
সৌরজগতের বাইরের গ্রহে কার্বন ডাই অক্সাইডের সন্ধান! কামাল জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের
সৌরজগতের বাইরের গ্রহে রয়েছে কার্বন ডাই অক্সাইড। এমন প্রমাণ উঠে এসেছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের অনুসন্ধানে। বর্তমানে পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। সেখান থেকে সৌর জগতের বাইরে জুম করে যে ছবি তুলে এনেছে ওই টেলিস্কোপ, তাতে চমক রয়েছে পরতে পরতে।
সৌরজগতের বাইরে ক্যামেরা জুম করে কী পেল জেমস ওয়েব
মহাকাশের অজানাকে জানতে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ সম্প্রতি যেসব ছবি ও ডেটা প্রেরণ করেছে, তা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অবাক করে দেওয়ার মতো। বিস্ময়ের পর বিস্ময় সৃষ্টি করে চলেছ নাসার ওই আধুনিক টেলিস্কোপ। এখন সৌরজগতের বাইরে ক্যামেরা জুম করে যা তুলে আনত তাতে প্রাণের সন্ধান মিলতে পারে বলেও মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
সৌর জগতের বাইরে কোনও গ্রহে কার্বন ডাই অক্সাইড!
সৌর জগতের বাইরে কোনও গ্রহে কার্বন ডাই অক্সাইডের স্পষ্ট প্রমাণ মিলল এই প্রথম। গ্রহটি হল গ্যাস জায়ান্ট ডব্লুএএসপি-৩৯। এই ডব্লুএএসপি-৩৯ পৃথিবী থেকে ৭০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। সৌর জগতের বাইরে একটি এক্সোপ্ল্যানেট এটি। নাসা এখনও পর্যন্ত আমাদের সৌরজগতের বাইরে ৫০০০টিরও বেশি এক্সোপ্ল্যানেট তালিকাভুক্ত করেছে।
৫০০০টি এক্সোপ্ল্যানেটে জীবনের সন্ধান চালাচ্ছে নাসা
এই ৫০০০টি এক্সোপ্ল্যানেটে জীবনের সন্ধান চালাচ্ছে নাসা। এবং এই সংক্রান্ত গবেষণা রিপোর্ট নেচার জার্নালে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গ্রহের বায়ুমণ্ডলের গঠন, গ্রহের উৎপত্তি এবং বিবর্তন সম্পর্কে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে তাঁদের গবেষণায়। গবেষকরা তেমনই নতুন আবিষ্কৃত এক্সোপ্ল্যানেটের কার্বন ডাই অক্সাইড নিয়েও গবেষণা শুরু করেছেন। তাঁরা গ্রহটি পর্যবেক্ষণ করতে ওয়েবের নিয়ার-ইনফ্রারেড স্পেকট্রোগ্রাফ ব্যবহার করেছেন।
ওয়েবের নিয়ার-ইনফ্রারেড স্পেকট্রোগ্রাফ ব্যবহারে আবিষ্কার
ওয়েবের নিয়ার-ইনফ্রারেড স্পেকট্রোগ্রাফ ব্যবহার করে ৪.১ ও ৪.৫ মাইক্রনের মধ্যে একটি ছোট পাহাড় লক্ষ্য করেছেন, যা সৌরজগতের বাইরের কোনও গ্রহে কার্বন ডাই অক্সাইড শনাক্ত করার বিশদ প্রমাণ সরবরাহ করে। হাবল টেলিস্কোপ ব্যবহার করে গ্রহের পূর্ববর্তী পর্যবেক্ষণগুলি গ্রহের বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প, সোডিয়াম এবং পটাসিয়ামের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছিল।
গ্রহগুলিতে বায়ুমণ্ডল রয়েছে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা
ডব্লুএএসপি-৩৯ বি-তে কার্বন ডাই অক্সাইডের এমন একটি স্পষ্ট সংকেতে ছোট ও স্থলজ আকারের গ্রহগুলিতে বায়ুমণ্ডল রয়েছে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এখন বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে ডব্লুএএসপি-৩৯বি এক্সোপ্ল্যানেটটি। এটি বৃহস্পতির প্রায় এক-চতুর্থাংশ। শনির আকারের সমান এটি। গ্রহটি তার নক্ষত্রের খুব কাছাকাছি প্রদক্ষিণ করে। নক্ষত্র থেকে সূর্য আর বুধের মধ্যবর্তী দূরত্বের প্রায় এক অষ্টমাংশ দূরত্বে রয়েছে ওই গ্রহটি। চার দিনেই একবার নিজের অক্ষে ঘুরে আসতে পারে। এই গ্রহটি আবিষ্কৃত হয়েছিল ২০১১ সালে। তখন থেকেই নাসার নজরে ছিল গ্রহটি।
ছবি সৌ:নাসা(ফাইল চিত্র)
দেশব্যাপী ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ভুয়ো ঘোষণা ইউজিসির, তালিকায় বাংলার দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান