বিধাননগর পুরসভা নিয়ে মামলায় হাইকোর্টে কী জানিয়েছেন সব্যসাচী
বিধাননগর পুরসভার পদক্ষেপ নিয়ে আদালতে নানা দাবি পেশ করলেন সব্যসাচী দত্ত। তাঁর দাবি, পুরসভার কমিশনার বিশেষ বৈঠকের যে নোটিশ দিয়েছেন, তার আইনি বৈধতা নেই। নোটিশটি ভেবেচিন্তে লেখা হয়নি।
বিধাননগর পুরসভার পদক্ষেপ নিয়ে আদালতে নানা দাবি পেশ করলেন সব্যসাচী দত্ত। তাঁর দাবি, পুরসভার কমিশনার বিশেষ বৈঠকের যে নোটিশ দিয়েছেন, তার আইনি বৈধতা নেই। নোটিশটি ভেবেচিন্তে লেখা হয়নি। সেই কারণে তা খারিজ করা উচিত। এমনটাই আদালতে মামলার আবেদনে দাবি করা হয়েছে।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, বিশেষ বৈঠক ডেকে ৯ জুলাই নোটিশ দিয়েছেন পুর কমিশনার। কিন্তু তিনি ২৭ জুন থেকেই ছুটিতে ছিলেন। সব্যসাচীর দাবি, ছুটিতে থেকেও তিনি নোটিশে সই করলেন কীভাবে? ওই সই জাল কিনা, সেই প্রশ্নও তুলেছেন সব্যসাচী। আদালতে করা আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, রাজ্য সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ষড়যন্ত্র করে কয়েকজন কাউন্সিলরকে দিয়ে ওই নোটিশ তৈরি করেছে।
কী কারণে বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়, কারা ওই বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তার বিস্তারিত উল্লেখ নেই ওই পুর নোটিশে। পুর আইন অনুযায়ী এই ধরনের নোটিশে সেই সমস্ত কথা বিস্তারিত বলতে হয়। তাছাড়া পুর আইনে বলা রয়েছে, বিশেষ বৈঠক ডাকার প্রস্তাব দিয়ে চিঠি এলে, সেই চিঠি যাচাই করে তবেই বৈঠকের নোটিশ দিতে হবে পুরসভার কমিশনারকে।
এক্ষেত্রে বিশেষ বৈঠক ডাকার আগে কমিশনার কোনও ভাবনাচিন্তা করেননি বলে দাবি করেছেন সব্যসাচী। পাশাপাশি তাঁর আবেদনে বিধাননগর পুরসভার কিছু কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কায়েমি স্বার্থ বজায় রাখার অভিযোগ এনেছেন সব্যসাচী।
তিনি দাবি করেছেন, ২০১৫ সালে বিধাননগর পুরসভা, রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভা এবং মহিষবাথান-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা মিলে বর্তমান বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন তৈরি হওয়ার পরে দেখা যায়, পুরনো রাজারহাট-গোপালপুর পুর এলাকায় বহু অবৈধ নির্মাণ হয়েছে। পুর আইন অনেক ক্ষেত্রেই মানা হয়নি। এই ধরনের বেআইনি কাজে মদত দেওয়া কাউন্সিলররাই তাঁকে সরাতে চান বলে সব্যসাচী আদালতে অভিযোগ করেছেন।