শৌচালয়ের দুয়ারে গণতন্ত্র! বিধাননগরে সংবাদ মাধ্যম পৌঁছতেই বুথের বাথরুমের দরজা খুলে ছুট দুই ভুয়ো ভোটারের
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুয়ারে সরকার নিয়ে হাজির হয়েছিল তৃণমূল সরকার। খানিকটা তার জেরেই বিরোধীদের পর্যুদস্ত করে জয়ী হয়েছিল তারা। তবে এবার শৌচালয়ের দুয়ারে পৌঁছে গেল গণতন্ত্র। বিধাননগরের পুরভোটে (Bidhannagar munic
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুয়ারে সরকার নিয়ে হাজির হয়েছিল তৃণমূল সরকার। খানিকটা তার জেরেই বিরোধীদের পর্যুদস্ত করে জয়ী হয়েছিল তারা। তবে এবার শৌচালয়ের দুয়ারে পৌঁছে গেল গণতন্ত্র। বিধাননগরের পুরভোটে (Bidhannagar municipal election 2022) এদিন তাড়া খেয়ে দুই ভুয়ো ভোটার (false voter) বুথের বাথরুমে (Bathroom) গিয়ে হাজির হয়। এরপর সেখানে সংবাদ মাধ্যম পৌঁছতেই দে ছুট। পুলিশকে অবশ্য এই দুই ভুয়ো ভোটারের পিছনে ছুটতে দেখা যায়নি।
সকাল থেকে ভুয়ো ভোটারের দাপাদাপি
এদিন সকাল সাতটায় ভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই বিধাননগর এবং আসানসোলে ভুয়ো ভোটারের দাপাদাপির অভিযোগ। দুই জায়গাতেই অভিযোগগুলির বেশিরভাগই উঠেছে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কম হলেও অভিযোগ এসেছে অপর দুই কর্পোরেশন চন্দননগর এবং শিলিগুড়ি থেকেও।
প্রাক্তন তৃণমূল নেতার ওয়ার্ডকে টার্গেট
বিধাননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী করেছে দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেতা দেবাশিস জানাকে। অন্যদিকে ওই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী প্রাক্তন মেয়র তথা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত। বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস জানা প্রচারের সময়েও তাঁকে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছিলে। এদিন ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই তিনি বুথে বুথে ঘুরছেন, আর অভিযোগ করেছেন ভুয়ো ভোটারের। পাশাপাশি তিনি বলেছেন একটি বুথে ৭৩৮ টি ভোটের মধ্যে সকাল সাড়ে দশটাতেও রেকর্ড সংখ্যক ৩৩৯ ভোট পড়ে গিয়েছে।
বাথরুমে লুকিয়ে ভুয়ো ভোটার
বুথে বুথে ঘুরছিলেন দেবাশিস জানা। এমনই এক মৌলনা আজাদ কলেজের বুথে দেবাশিস জানা পৌঁছতেই হঠাইৎ শোরগোল। সংবাদ মাধ্যমে তাঁর সাক্ষাৎ দেখাতে দেখাতেই ক্যামের মুখ চলে যায় ওই ভোট কেন্দ্রের বাথরুমের দিকে। ক্যামেরায় চোখে পড়ে দুই যুবক দরজা আটকে। পরে দরজা খোলার পরে তারা বলে বাথরুম করতে ঢুকেছিল। কিন্তু কীভাবে পুলিশের সামনে দিয়ে বহিরাগত দুই যুবক ভোট কেন্দ্রের মধ্যে বাথরুমে ঢুকে থাকে, সেই প্রশ্ন উঠেছে। এরপরেই ওই দুই যুবক দৌড়াতে শুরু করে। সেই অবস্থায় ওই দুজনকে আটকাতে পুলিশকে তেমন সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
একই ব্যক্তির দুই নাম, বাবার নাম জানে না ভোটার
বিধাননগরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কমিউনিটি হলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভুয়ো ভোটারদের জমায়েতের অভিযোগ তোলেন সিপিএম এবং বিজেপি প্রার্থী। বুথের মধ্যেই দুই প্রার্থীর মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। ভুয়ো ভোটার দিয়ে ভোটা দেওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে বাগুইআটি এবং কৈখালি এলাকার বুথগুলিতেই। কোনও কোনও বিরোধী প্রার্থী টানা বুথে বুথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস জানার উপস্থিতিতেই এক ভুয়ো ভোটার ধরে পুলিশ নয়, সংবদা মাধ্যম। এক যুবক জানায় তাঁর নাম রণজিত দাস। এরপর তার ভোটার কার্ড দেখতে চাওয়া হলে নাম দেখা যায় বিশ্বজিৎ ঘোষ। ওই যুবকের দাবি, তার নাম ভুল রয়েছে। এদিকে অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত বলেছেন, সংবাদ মাধ্যমকে ধরে বেঁচে থাকতে চাইছে বিজেপি-সহ বিরোধীরা।
কংগ্রেসের জি-২৩-এর মতোই তৃণমূলে জি-৫! ঘাসফুল শিবিরে বড় বিভাজন সামনে