তৃণমূল সরকার 'সাম্প্রদায়িক', প্রশাসন হাতের পুতুল, বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী
ইকো পার্কে (eco park) জয় শ্রীরাম (jai shri ram) স্লোগানে বাধা নিয়ে সরব হলেন বিজেপি (bjp) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। এক টুইটার পোস্টে তিনি বিষয়টি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তবে যে ভিডিওটি নিয়ে বিতর্ক, তার সত্যতা যাচাই করেনি বেঙ্গলি ওয়ান ইন্ডিয়া।

ইকো পার্কে জয় শ্রীরাম স্লোগান
ইকো পার্কে জয় শ্রীরাম স্লোগান। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে গেরুটা টি শার্ট পরা একদল যুবক যুবতী ইকো পার্কে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিচ্ছেন। তাঁদের টি শার্টে লেখা নমো এগেইন। কোনও এক সকালের ঘটনা। এই ভিডিও নিয়েই বিতর্ক ছড়ায়।

পুলিশের বাধা
ইকো পার্কে জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে আপত্তি করেন সেখানে থাকা পুলিশকর্মীরা। স্লোগান দেওয়া যুবক-যুবতীদের বাধা দেন। বলেন, এই জায়গায় এই ধরনের স্লোগান দেওয়া যাবে না। কিন্তু এই বাধা মানতে নারাজ জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়া যুবক যুবতীরা। তাঁদের দাবি তাঁরা বিজেপি সমর্থক নন, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সমর্থক। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয় এই পার্কে এই ধরনের স্লোগান দেওয়ার অনুমতি নেই। সেখানে কোনও পার্টির হয়ে প্রচার করা যাবে না বলেও জানিয়ে দেন পুলিশ কর্মীরা। পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান যুবক-যুবতীরা।

তৃণমূল সরকার সাম্প্রদায়িক
যে ভিডিওটি নিয়ে বিতর্ক, সেই ভিডিওটি টুইট করে তৃণমূল সরকারকে প্রবল আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই ঘটনাকে লজ্জাজনক এবং অপমানজনক বলে মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি মত প্রকাশের স্বাধীনতার সরকার বাধা দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন। তৃণমূল সরকারকে সাম্প্রদায়িক বলে আক্রমণ করেছেন তিনি। পুলিশ প্রশাসন সরকারের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

ইকো পার্কে টক্কর হয়েছে দিলীপ ঘোষ ও তৃণমূলের
দীর্ঘদিন ধরেই ইকোপার্কে প্রার্তভ্রমণ করতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গত ডিসেম্বরের শুরুতে সেখানে তৃণমূলের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। মর্নিং ওয়াক করতে করতেই সেই চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল। সেদিন দিলীপ ঘোষের পাশে প্রায় ১০০ জনের বেশি তৃণমূল কর্মী হাঁটা শুরু করেছিলেন। নেতৃত্বে ছিলেন রাজারহাট-নিউটাউন এলাকার যুব তৃণমূল নেতা আফতাবউদ্দিন। তাঁদের পরনের টিশার্টে লেখা ছিল সব বেচে দে। সঙ্গে ছিল রেল, বিমান ও জাহাজের ছবি। এব্যাপারে যুব তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নীরবে প্রতিবাদ করেছেন তাঁরা। দিলীপ ঘোষ যেমন চায়ে পে চর্চায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিয়ম করেন, খানিকটা সেই ঢঙেই তৃণমূল কর্মসূচি চালিয়েছিল বেশ কয়েকদিন। এতে অবশ্য দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেছিলেন এটা দিদির অনুপ্রেরণায় নয়, দাদার অনুপ্রেরণায়।

৩ কৃষি আইন কেন আনা হল! সংসদে উত্তর দিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কোন 'পরিকল্পনা'র অভিযোগ মোদীর