অন্ডাল বিমানবন্দরের বাড়তি শেয়ার রাজ্যের হাতে নেওয়ায় 'গরমিল', প্রশ্ন তুলে মমতাকে চিঠি ধনখড়ের
কেন্দ্র যখন দেশের বিমানবন্দরগুলিকে বেসরকারিকরণের পথে নিয়ে যাচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে অন্ডালে বিমানবন্দরের (andal airport) রাজ্য সরকারের শেয়ারের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এদিন তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (jagdeep dhankhar) । বাড়তি শেয়ার কেনার নথি কোথায়, তা জানতে চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) টুইট করেছেন রাজ্যপাল।

ডিসেম্বরে রানিগঞ্জে প্রশাসনিক সভায় ঘোষণা
অন্ডাল বিমানবন্দরের কাজ শুরুর সময়ে রাজ্য সরকারের অংশিদারিত্ব ছিল ১১ শতাংশ। পরে তা বাড়িয়ে ২৬ শতাংশ করা হয়। এখন সেই অংশিদারিত্ব বেড়ে হয়েছে ৪৭.৪৩ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে রানিগঞ্জে প্রশাসনিক সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী মুখ্যসচিব তখন বলেছিলেন, সরকার ও ব্যক্তিগত সংস্থার উদ্যোগে কাজ করার সময় রাজ্য সরকার জমি-সহ কিছু বিনিয়োগ করেছিল। সেই বিনিয়োগই এখন সরকারের ইকুইটি শেয়ার হিসেবে যুক্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সেখানকার জমি দাতাদের সব দাবি তাঁরা মিটিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১১ সালে অন্ডালে বিমানবন্দর তৈরির জন্য পিপিপি মডেলে জমি অধিগ্রহণ করেছিল রাজ্য সরকার।

কর্তৃত্ব বাড়বে রাজ্য সরকারের
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী মুখ্যসচিব সেই সময় বলেছিলেন, কাজি নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে সরকারি শেয়ারের পরিমাণ বাড়ায় কর্মব্যস্ততা আরও বাড়বে। একটা সময়ে বিমানবন্দর চালু হলেও সেরকম আয় না হওয়ায় তা কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপে তা ফের চাঙ্গা হল বলেও মন্তব্য ছিল সরকারি তরফে।

রাজ্যপালের প্রশ্ন
রাজ্য সরকারের সেই সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি প্রশ্ন করেছেন, শেয়ারের পরিমাণ ১১ শতাংশ থেকে ২৬ শতাংশ এবং ২৬ শতা্ংশ থেকে ৪৭ শতাংশে নিয়ে যেতে রাজ্য সরকারকে কত অর্থ খরচ করতে হয়েছে। তিনি আরও প্রশ্ন করেছেন, কার কাছ থেকে এই শেয়ার কেনা হয়েছে, কোন দামে সেই শেয়ার কেনা হয়েছে, প্রশ্ন করেছেন তিনি। তিনি প্রশ্ন করেছেন, কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, কাজের সঙ্গেই বা এব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে, যাবতীয় তথ্য তিনি রাজ্য সরকারের থেকে চেয়েছেন।

রাজ্যের ঘাড়ে বাড়তি আর্থিক বোঝা
টুইটে রাজ্যপাল বলেছেন, রাজ্যের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে বিমানবন্দরের বাড়তি শেয়ার হাতে নিয়ে রাজ্য সরকার আর্থিক বোঝা আরও বাড়িয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে এই বাড়তি শেয়ার কেনান জন্য কারা সুবিধা পেলেন, তে দেখা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের এই টুইট বিতর্ক আরও বাড়াল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও এব্যাপারে রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
রাজ্যে ফের রাজনৈতিক খুন, ডালখোলায় সিপিএম নেতাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ, চরম উত্তেজনা এলাকায়