পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের আগে বামেদের ইস্তেহারে সিএএ বিরোধিতা থেকে শিল্প, কৃষি নিয়ে কোন ভাবনা, একনজরে তথ্য
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের আগে প্রকাশিত হয়ে গেল বামেদের ইস্তেহার। সংযুক্ত মোর্চার অংশ বামেরা শনিবারই প্রকাশ করেছে তাদের ইস্তেহার। আর সেখানে বিজেপি বিরোধিতায় কৃষক আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে যেমন কৃষি গুরুত্ব পেয়েছে, তেমনই শিল্পও বড় জায়গা করেছে। স্থান পেয়েছে সিএএ , এনআরসি বিরোধিতা।
সিএএ প্রসঙ্গ ও বাম
বামেদের তরফে বিমান বসু এই ইস্তেহার প্রকাশ করে জানান, বিজেপি আর কেন্দ্রীয় সরকার দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ও বহুজনভিত্তিক পরিকাঠামোতে বারবার হামলা করেছে।সেই অনুযায়ী বামেদের ইস্তেহারে ধর্মনিরপেক্ষতা যেমন স্থান করে নিয়েছে, তেমনই সংখ্যালঘুদের অধিকাররক্ষায় সরব হয়ে সেখানে সিএএ ও এনআরসি বিরোধিতা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সিএএ বা এনআরসি তাদের সরকার ক্ষমতায় এলে লাগু হবে না।
বিজেপি তৃণমূলকে ধাক্কা
এদিকে, বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় মেরুকরণ নিয়ে যেমন সুর চড়া করেছেন বিমানবাবুরা, তেমনই তাঁদের দাবি, 'বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের গোপন আঁতাত রয়েছে।' এর সঙ্গেই ইস্তেহারে তাঁদের দাবি, কেন্দ্রের সংগৃহীত মোট রাজস্বের ৫০ শতাংশ রাজ্যকে দিতে হবে।
শিল্পের ডাক
উল্লেখযোগ্যভাবে বামেদের ইস্তেহারে বলা হয়েছে, শিল্পের জন্য যখন প্রয়োজন পড়বে তখন দ্বিপাক্ষিক আলোতনার মাধ্যমে জমি অধিগ্রহণ হবে। দুটি পক্ষ সহমত হলেই তা হবে। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ভোটে বামেদের মসনদ হাতছাড়া হওয়ার নেপথ্যে ছিল সিঙ্গুরে মতো আন্দোলন। যা কৃষি জমি শিল্পের জন্য অধিগ্রহণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাজ্যে আগুন জ্বালিয়ে ছিল।
কর্মসংস্থান
রাজ্যে কর্মসংস্থান যে বামেদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তা জানাতে ভোলেনি এই ইস্তেহার। তারা রাজ্যে আইটি থেকে বায়োটেকনোলজি, কৃষি নির্ভর শিল্পের কথা উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও ইলেকট্রনিকস, অটোমোবাইল, পেট্রো কেমিক্যাল, বিদ্যুৎ, সিমেন্ট, পোশাক , চামড়া শিল্প রাজ্যে গড়ে তোলার ও তার উন্নয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। এছাড়াও ১০০ দিনের কাজের মেয়াদকে বৃদ্ধি করে তা ১৫০ দিন পর্যন্ত তা বৃদ্ধি করার কথা বলা হয়েছে।
কৃষি থেকে শিক্ষা ইস্তেহারে গুরুত্বের জায়গায়
প্রসঙ্গত, বামেদের ইস্তেহারে কৃষি আলাদা করে গুরুত্ব পেয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যাতে কৃষকরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পান , তা নিশ্চিত করতে হবে। সাম্প্রতিক কৃষি আন্দোলনে বামেদের জোরদার সমর্থনের বার্তা তাদের ইস্তেহারেও প্রকাশ পেয়েছে। এছাড়াও রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতিতে স্বচ্ছ্বতা ও নিয়োগ পরীক্ষা যাতে দ্রুত কার্যকরী হয় তার দিকেও বামেরা উদ্য়োগ নেবে বলে দাবি করা হয়।