জয়েন্টে সফল ৯৯ শতাংশ ছাত্রছাত্রী, প্রথম রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের পাঞ্চজন্য দে
জয়েন্টে সফল ৯৯ শতাংশ ছাত্রী, প্রথম রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের পাঞ্চজন্য দে
প্রকাশিত হল জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলাফল। পরীক্ষার ২০ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ। ৯৯ শতাংশ পাস হয়েছে। প্রথম হয়েছেন রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের পাঞ্জজন্য দে। দ্বিতীয় বাঁকুড়া জেলা স্কুলের সৌম্যজিত দত্ত। এবং তৃতীয় ব্রতীন মণ্ডল শান্তিপুর মিউনিসিপাল স্কুলের ছাত্র বলে জানিয়েছেন জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের সভাপতি।
প্রকাশিত হল জয়েন্টের ফলাফল
আগেই জানিয়েছিল বোর্ড। সেই মতোই জয়েন্ট পরীক্ষার ২০ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল ফলাফল। এবার প্রথম করোনা আবহে হলে বসে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ছাত্র ছাত্রীরা। রাজ্যের জয়েন্ট পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ৯২ হাজার ৬৯৫ জন রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। তার মধ্যে পরীক্ষায় বসেছিলেন ৬৫ হাজার ১৭০ জন। তাতে ব়্যাঙ্ক করেছেন ৬৪, ৮৫০ জন। প্রায় ৯৯ শতাংশ ছাত্রছাক্রী সফল হয়েছেন। এবার জয়েন্ট পরীক্ষায় সাফল্যের হার আগের থেকে অনেকটাই বেশি। এবার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাতেও ১০০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী পাস করেছে। অন্যান্য বোর্ডের পরীক্ষার্থীরাও পরীক্ষা দিয়েছেন।
প্রথম দশে কারা
এবার জয়েন্ট পরীক্ষায় প্রথম দশের তালিকায় অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গের বোর্ডের ছাত্রছাত্রীরা। প্রথম হয়েছেন রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র পাঞ্চজন্য দে। দ্বিতীয় হয়েছেন বাঁকুড়া জেলা স্কুলের সৌম্যজিত দত্ত। তৃতীয় হয়েছেন শান্তিপুর মিউনিসিপাল স্কুলের ব্রতীন মণ্ডল, চতুর্থ হয়েছেন হাওড়ার লিলুয়ার অঙ্কিত মণ্ডল। পঞ্চম হয়েছেন নারায়ণা টেকনো স্কুলে গৌরব। ষষ্ঠ হয়েছেন দিল্লি পাবলিক স্কুলের আয়ুষ গুপ্তা, সপ্তম হয়েছে রীতম দাশগুপ্ত,। অষ্টম হয়েছেন নরেন্দ্রপুরে সপ্তর্ষ ভট্টাচার্য। নবম হয়েছেন দমদম সেন্ট স্টিফেন্স স্কুলের রথীন কেজরিওয়াল, দশম হয়েছেন বালিগঞ্জ হাইস্কুলের সৌহার্দ্য দত্ত।
কাউন্সিলিং কবে থেকে
১৩ অগাস্ট থেকে শুরু হবে জয়েন্টের কাউন্সিলিং। চলবে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ১১৫টি ইনস্টিটিউশন রয়েছে। তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে কাউন্সিলিং প্রক্রিয়াকে। তাই এখন থেকেই চয়েস ফিলিংয়ের জন্য হোমওয়ার্ক করতে বলা হয়েছে। কাউন্সিলিংয়ের প্রথম ভাগে চয়েস ফিলিংেয়র সুযোগ দেওয়া হবে। চয়েস ফিলিং হলে পরে তাঁদের পছন্দের কলেজে সুযোগ দেওয়া হবে। তার জন্য রবিবারেও যাতে কলেজ গুলি ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির সুযোগ দেয় তার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ
গতমাসেই মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষারও ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে ১০০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীকে পাস করানো হয়েছে। মাধ্যমিকে প্রথমে ১০০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীকে পাস করানো হয়। তারপরে উচ্চ মাধ্যমেকি ৯৭ শতাংশ ছাত্রছাত্রীকে পাস করানো হয়েছিল। এই নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। পরীক্ষা ছাড়া কেন বাকি ছাত্রছাত্রীদের ফেল করানো হবে। এই নিয়ে একাধিক জেলায় বিক্ষোভ, পথ অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে।তারপরেই তিনি উদ্যোগী হয় সংসদ। এবং ১০০ শতাংশ পরীক্ষার্থীকেই পাস করানোর কথা ঘোষণা করে।