সরকার শেষের সময়ে চলে এসেছে! প্রদীপ ধপ্ করে জ্বললেও নিভে যাবে, বিস্ফোরক ভারতী ঘোষ
সরকার শেষের সময়ে চলে এসেছে! প্রদীপ ধপ্ করে জ্বললেও নিভে যাবে, বিস্ফোরক ভারতী ঘোষ
রাজ্যে শ্রেণিগতভাবে সবাই বঞ্চিত। উত্তরবঙ্গে গিয়ে এমনটাই অভিযোগ করলেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ। এব্যাপারে তিনি কৃষক, বেকার যুবক, মহিলাদের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, একটি সরকার যখন ,সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে এত অত্যাচার চালায়, তখন বোঝায় যায় সরকারের তার শেষে সময়ে চলে এসেছে।
অপপ্রচার করে কৃষকদের পিছিয়ে রাখছে তৃণমূল
অপপ্রচার করে কৃষকদের পিছিয়ে রাখছে তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তরবঙ্গে গিয়ে এমনটাই অভিযোগ করলেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ। এব্যাপারে তিনি নতুন কৃষি আইনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নতুন কৃষি আইনে, একজন কৃষক তাঁর উৎপাদন যাঁকে খুশি তাঁকে বিক্রি করতে পারে।
কৃষকদের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন
ভারতী ঘএাষের প্রশ্ন কৃষকরা কেন ডায়রেক্ট বেনিফিটের টাকাটা পাবেন না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে টাকা কৃষকদের দিচ্ছেন, তা তাদের হকের চাকা। সেখানে কেন রাজ্য সরকার মাঝে থেকে বলবে, আমাদের দাও, আমরা দেব। তাঁর প্রশ্ন মধ্যে রাজ্য সরকারকে আসার ক্ষমতা কে দিচ্ছে। তিনি বলেন, কৃষকরা ফোড়েদের থেকে মুক্ত হবে, দালালদের থেকে মুক্ত হবে, তা ভাল লাগছে না। তাঁর প্রশ্ন একজন কৃষক তাঁর উৎপাদিত টমেটো কিষাণকে বেচতে পারে, ডাল বেচতে পারে হলদিরামকে। সেটাই পছন্দর হচ্ছে না রাজ্য সরকারের। তিনি বলেন, লাইসেন্স প্রাপ্ত দালালদের বেচে কাটমানি নেবে সরকার, সেটা হবে না বলেই সরকারের ভাল লাগছে না।
সদর্থক ভূমিকা নেয় না প্রশাসন
ভারতী ঘোষের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে প্রশাসন সদর্থক ভূমিকা নেয় না। তিনি বলেন, গরু পাচার থেকে শুরু করে আসামীদের রক্ষা করা, বড় বোমাবাজদের রক্ষা করার কাজ চলছে পশ্চিমবঙ্গে। তাঁর অভিযোগ বিভিন্নভাবে তৃণমূল সরকার সাধারণ মানুষের ওপরে অত্যাচার চালাচ্ছে। বিজেপির যুব নেতাদের টার্গেট করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি।
একের পর এক অন্যায়
ভারতী ঘোষের অভিযোগ একের পর এক অন্যায় করে চলেছে সরকার। শিক্ষিত যুবকদের প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি, টেট বন্ধ করে দিয়ে, বলছে মুড়ি শিল্প করো, চপ শিল্প করো। প্যারা টিচারদের কাটা দেওয়া হচ্ছে না। একইভাবে কৃষকদের ডায়রেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
সরকারের শেষে সময়ে চলে এসেছে
বিজেপি নেত্রী বলেন, সরকার তার শেষের সময়ে চলে এসেছে। খুব শিগগিরই নিভে যাবে। এমনটাই মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি বলেন, বাম জমানার শেষেও এমনটাই দেখা গিয়েছিল।
কফিনবন্দি সুশান্ত ইস্যু, রাজপুতকে ভুলেই বিহারে সরগরম ভোটের ময়দান