নারদ কাণ্ডের অভিযুক্তের সঙ্গে সাক্ষাৎ সলিসিটর জেনারেলের, তুষার মেহতার অপসারণ চেয়ে মোদীকে চিঠি তৃণমূলের
নারদ কাণ্ডের অভিযুক্তের সঙ্গে সাক্ষাৎ সলিসিটর জেনারেলের, তুষার মেহতার অপসারণ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি তৃণমূলে
নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সলিসিটর জেনারেলের। নিরপেক্ষ বিচার ব্যহত হবে অভিযোগ করে তুষার মেহতাকে অপসারণের দাবি জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীকে এই দাবি জানিয়ে চিঠি লিখলেন তৃণমূল কংগ্রেসের তিন সাংসদ। ডেরেক ওব্রায়েন, মহুয়া মৈত্র এবং সুখেন্দু েশখর রায়।
তুষার মেহতার সঙ্গে সাক্ষাৎ
সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার মেহতা। তিনিই সিবিআইয়ের হয়ে নারদ ও সারদা কাণ্ডের মামলা লড়ছেন। গতকাল দিল্লিতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নারদ ও সারদা কাণ্ড দুই ক্ষেত্রেই নাম রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। তাই সিবিআই আইনজীবীর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর সাক্ষাৎ ভাল চোখে দেখছে না তৃণমূল কংগ্রেস। এতে মামলার নিরপেক্ষতা খর্ব হবে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি
সলিসিটর জেনারেলকে অপসারণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখল তৃণমূল কংগ্রেস। সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন, সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় এবং সাংসদ মহুয়া মৈত্র প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে লিখেছেন তুষার মেহতার সঙ্গে নারদা ও সারদা কাণ্ডে অভিযুক্তের সাক্ষাৎকে ভাল চোখে দেখছেন না তাঁরা। এতে মামলার নিরপেক্ষতা খর্ব হতে পারে। প্রভাবিত হতে পারেন তুষার মেহতা। তাই তাঁকে সলিসিটর জেনারেলের পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক।
সমালোচনায় বিজেপি
সলিসিটর জেনারেলকে সরানোর দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে যে চিঠি তৃণমূল লিখেছে তার তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি অভিযোগ করেছেন তৃণমূল প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে উঠছে। সকলকে সরিয়ে দিতে চাইছে। এবার তো বলবে রাষ্ট্রপতিকেও সরিয়ে দেওয়া হোক। যদি কোনওঅভিযোগ থাকে তাহলে সুপ্রিম কোর্টে যান।
নারদ কাণ্ডে গ্রেফতার
ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরেই নারদ কাণ্ডের তদন্তে তৎপর হয়েছিল সিবিআই। তাতে শাসক দলের চার নেতা মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই। যদিও হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্জ চার নেতামন্ত্রীর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্য সরকারকে কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের