
তুঙ্গে 'কালী' তরজা, মোদীকে পাল্টা 'দিদি-ও-দিদি' স্লোগান স্মরণ করালেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র
'কালী' বিতর্কের আগুন ধিকিধিকি জ্বলেই চলেছে। প্রধানমন্ত্রী গতকাল টিএমসি সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তার পাল্টা টুইটে মোদীকে নিশানা করলেন সাংসদ। টুইটে একুশের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্যে করে দেওয়া দিদি-ও-দিদি স্লোগান স্মরণ করালেন তিনি। যিনি এত মায়ের ভক্ত তিনি ভুলে গেলেন একুশের ভোটের আগে কীভাবে দিদি-ও-দিদি স্লোগান দিয়ে একজন মহিলাকে ব্যঙ্গ করেছিলেন।

মোদীকে নিশানা মহুয়ার
গতকাল একটি অনুষ্ঠনে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নাম না করে টিএমসি সংসদ মহুয়া মৈত্রকে নিশানা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যখনই সুযোগ পাই তখনই দক্ষিণেশ্বর মন্দির আর বেলুড় মঠ দর্শণ করী। মা কলীর আশির্বাদ সর্বদা দেশের উপর ছিল এবং থাকবে। যখন মনে বিশ্বাস থাকে তখন মায়ের আশির্বাদ অনুভূত হয়। মায়েরপ আশির্বাদ নিয়েই বিশ্বের উন্নয়নে কাজ করবে দেশ। এমনই মন্তব্য করেছেন তিনি। মোদী আরও বলেছেন বাংলার মাটিেত কালীপুজোর বিশেষ মাহাত্ম রয়েছে। এক প্রকার নাম না করেই তিনি মহুয়া মৈত্রকে নিশানা করেছিলেন।

পাল্টা জবাব মহুয়ার
মোদীর কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিয়েছেন টিএমসি সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি টুইটে মোদীকে পাল্টা নিশানা অমিত মালব্যকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, 'বিজেপি ট্রোলিং ইনচার্জ যেন তাঁর প্রভুকে সতর্ক করেন, যেটা তিনি জানেন না সেটা নিয়ে যেন মন্তব্য না করেন। দিদি-ও-দিদি বলে যাঁদের তাঁরা ব্যঙ্গ করতেন। সেই দিদির কাছেই মুখ থুবরে পড়তে হয়েছিল বিজেপিকে। এবার মা-ও-মা তাঁদের বুকে পা দিয়ে দমন করবেন।' বিধানসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মোদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে একাধিকবার দিদি ও দিদি স্লোগান তুলেছিলেন। তাই নিয়ে তীব্র সমালোচনাও হয়েছিল সেসময়।

সমালোচনায় সৌগত রায়
টিএমসি সাংসদ সৌগত রায়ও এই নিয়ে বিজেপিকে তীব্র নিশানা করেছেন। তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন, 'বাংলার কালীপুজোর কিছুই দেখেননি প্রধানমন্ত্রী মোদী। দু-একবার তিনি দক্ষিণেশ্বর এবং বেলুড় মঠে গিয়েছেন মাত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বাড়িতে কালীপুজো করেন। কাজে কালীপুজো নিয়ে কোনও শিক্ষা বিজেপির কাছ থেকে আমরা নিতে চাই না। '

মহুয়ার বিতর্কিত মন্তব্য
কালী ছবির পোস্টার বিতর্ক পারদ চড়িয়ছিলেন টিএমসি সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি সিগারেটে সুখটান েদওয়া কালী ঠাকুরের বেশ থাকা এলজিবিটি কমিউনিটির এক ব্যক্তির পোস্টার দেখে বলেছিলেন, কালী ঠাকুরের মত আমিও মাংসে বিশ্বাসী। তারপরেই সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। টিএমসির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এটা একেবারেই সাংসদের ব্যক্তিগত মতামত তার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।