চা বাগান খোলার দাবিতে জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও তৃণমূলের, শ্রমিক বিক্ষোভ উত্তাল
এক বছর ধরে বন্ধ রায়পুর চা বাগান। ফলে চরম দুরবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা। চা বাগানের বেশকিছু শ্রমিক অর্ধাহারে দিন গুজরান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
এক বছর ধরে বন্ধ রায়পুর চা বাগান। ফলে চরম দুরবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা। চা বাগানের বেশকিছু শ্রমিক অর্ধাহারে দিন গুজরান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে চা বাগানের পুরোনো লিজ বাতিল করে পুনরায় বাগান খোলার জন্য বিক্ষোভ দেখায় তৃণমুলের শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরা।
এই বাগানে প্রায় ৭০০ শ্রমিক কাজ করেন। জলপাইগুড়ি জেলা শাসকের দফতরে তাঁদের অধিকাংশ জড়ো হয়েছিলেন কাজের দাবিতে। বাগান অবিলম্বে খোলার দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তাঁরা। জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন এই রায়পুরের চা বাগানটি ২০১২ সালে সংবাদ শিরোনাম এসেছিল জিতবাহন মুণ্ডা নামে এক চা শ্রমিকের অনাহারে মৃত্যুর ঘটনায়।
তারপরই বর্তমান রাজ্য সরকার ২০১৪ সালে বাগানটিকে একটি নতুন মালিকের হাতে তুলে দেয়। এবং চালু হয় চা বাগান। তারপর থেকেই বাগানের শ্রমিকদের মুজুরি নিয়ে মালিকের সঙ্গে জামেলা বাধে। ২০১৭ সাল থেকে সেই ঝামেলার সূত্রপাত। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে বাগানের কাজ একপ্রকার বন্ধ হয়ে যায়।
শ্রমিকনেতা স্বপন সরকার বলেন, শ্রমিকরা অর্ধাহার অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। বেশকিছু শ্রমিক মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেন স্বপনবাবু।যদিও রাজ্য সরকার উত্তরবঙ্গের কোনও চা বাগানে শ্রমিকরা অর্ধাহার ও অনাহারে মারা গিয়েছেন বলে স্বীকার করেননি। কিন্তু রাজ্যের শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের শ্রমিক নেতার দাবি বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকরা অর্ধাহার ও অনাহারে ভুগছে।
তিনি বলেনস আমরা চাই প্রশাসন অবিলম্বে বাগান খোলার বন্দোবস্ত করুক। তা না হলে বাগানের শ্রমিকরা এর থেকেও বড় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারি প্রশাসনকে জানিয়েছেন বন্ধ রায়পুর চা বাগান খোলার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।