রুখুশুখু অযোধ্যা পাহাড়ে শুরু হচ্ছে চা চাষ
সাধারণত চা চাষের জন্য যে ধরণের জলবায়ু, মাটি দরকার, তাই নেই পুরুলিয়া জেলার অযোধ্যা পাহাড়ে। শুধু চা নয়, যে কোনও চাষের পক্ষেই স্বাভাবিকভাবে অনুপযুক্ত পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়। তাই একরের পর একর পতিত জমি রয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে এখানে চা চাষ করা হবে। প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে খড়্গপুর আইআইটি। অর্থ জোগান দিচ্ছে পুরুলিয়া জেলা পরিষদ।
এর আগে সমতলে চা চাষ করার প্রযুক্তি আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল খড়গপুর আইআইটি। এ বার তাই বেছে নেওয়া হয়েছে অযোধ্যা পাহাড়ের পতিত জমি। ঠিক হয়েছে, ১১ একর জমিতে আপাতত চা চাষ করা হবে। সাফল্য মিললে এর পরিমাণ বাড়ানো হবে। এ বছর চা চাষ করা হবে। পরের বছর জমি পরিমাণ বাড়লে চায়ের পাশাপাশি কফি চাষও করা হবে।
চা চাষ শুরু হলে এখানে পর্যটনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় আসবেন সব কিছু খতিয়ে দেখতে। অযোধ্যা পাহাড়ে ইকো ট্যুরিজম পার্ক তৈরির চেষ্টা শুরু হয়েছিল অনেক আগে থেকেই। চা চাষ শুরু হওয়ায় ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে অযোধ্যা পাহাড়ের আকর্ষণ আরও বাড়বে। এখান থেকে উৎপন্ন গ্রিন টি বিদেশেও পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের। অর্থাৎ চা চাষ করে যেমন রোজগারের সুযোগ থাকছে, তেমনই তা বিদেশে রফতানি করেও লাভবান হবেন স্থানীয় মানুষ।