পুলিশের সঙ্গে প্রকাশ্যে বচসায় জড়ালেন বিরোধী দলনেতা, ধাক্কা মারার অভিযোগে ধন্ধুমার
পুরসভার প্রচারে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁকে ধাক্কা মারারও অভিযোগ। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধন্ধুমার কাণ্ড নদিয়ার চাকদায়। ঘটনার পর বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে। আগামী ২৭ ফ
পুরসভার প্রচারে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁকে ধাক্কা মারারও অভিযোগ। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধন্ধুমার কাণ্ড নদিয়ার চাকদায়। ঘটনার পর বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮ পুরসভায় পুরনির্বাচন।
আর সেই নির্বাচনের আগে বিভিন্ন জায়গাতে অশান্তি চলছে। চড়ছে বাংলার রাজনৈতিক পারদ। ভোট রয়েছে চাকদা পুরসভাতেও। সেই মতো আজ সোমবার সেখানে প্রচারে গিয়ে পুলিশের বাঁধার মুখে বিরোধী দলনেতাকে পরতে হয় বলে অভিযোগ।
তাঁর অভিযোগ, পুরসভা এলাকাতে পুলিশের তরফে বিজেপিকে কোনও মিটিং, মিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে না। যা করতে দেওয়া হচ্ছে তা হচ্ছে সমস্ত পঞ্চায়েত এলাকাতে। আর এই অবস্থায় পায়ে হেঁটে পুরসভা এলাকাতে প্রচারে নামলে কার্যত ধন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায়। কারন মিছিল শুরু হতেই পুলিশ আটকে দেয়।
আর সেখানে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি বিধায়ক। তাঁর দাবি, পুলিশ শাসকের হয়ে কাজ করছে। আর এই বচসা চলাকালীন পুলিশ তাঁকে ধাক্কা মেরেছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই স্লোগানিং করতে শুরু করে দেন বিরোধী দলনেতা। যা নিয়ে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। যদিও বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে থেকে নিয়ন্ত্রনে আনে।
অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ক্রমশ চড়ছে পারদ। আর এই অবস্থায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা। কয়েকটি থানাতে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ। যার মধ্যে একটি হয়েছে খোদ অধিকারী গড়েই। যেমন ভোটারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে একাধিক এফআইআর। কাঁথি থানায় এই মামলা করেছেন একাধিক ভোটার।
শুধু শুভেন্দুই নয়, তাঁর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধেও ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, কল্যানির গয়েশপুরের পুলিশ ফাঁড়িতে একটি জেনারেল ডায়েরি হয়েছে বিরোধী দলনেতার নামে।
জানা গিয়েছে, নদিয়ার গয়েশপুরে প্রচারে গিয়ে সেখানকার এক তৃণমূল প্রার্থীর নাম করে আক্রমন শানান শুভেন্দু অধিকারী। গয়েশপুরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী বান্টি নন্দীর নাম ধরে তীব্র আক্রমণ শানান। আর এরপরেই পালটা বান্টির তোপের মুখে পড়তে হয় শুভেন্দুকে।
এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করারও হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার। তাঁর বক্তব্যের জন্যে শুভেন্দু ক্ষমা না চাইলে এই মামলা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি। আর একের পর এক এহেন বিতর্কের মধ্যেই শুভেন্দু-পুলিশ বচসার ঘটনা। যা নিয়ে নয়া উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।