বেলিয়াতোড়ে বাস দুর্ঘটনায় মৃত সাত, তালিকায় এক শিশুও
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোনামুখী থেকে বাসটি যাচ্ছিল আসানসোলের উদ্দেশে। অন্তত ৫০ জন যাত্রী ছিলেন বাসে। এ সময় বেলিয়াতোড়ের নিমতলায় উল্টো দিক থেকে ছুটে আসা কেন্দুপাতা বোঝাই একটি ম্যাটাডর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরাসরি ধাক্কা মারে বাসটিতে। এতে বাসের সামনের দিকের অংশটি দুমড়-মুচড়ে যায়। চালক এবং আরও চারজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। বাকি দু'জনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে।
দুঘর্টনার কবলে পড়েছিলেন সোনামুখীর বাসিন্দা তথা আইনজীবী সন্তোষ মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "আমি দুর্গাপুর যাওয়ার জন্য সোনামুখী থেকে বাসে উঠি। বাসের সামনেই অন্যান্য দিন বসি। এ দিন জায়গা না পেয়ে পিছনের দিকে বসেছিলাম। হঠাৎ প্রচণ্ড একটা ধাক্কা আর বিকট শব্দ। প্রথমে হকচকিয়ে গিয়েছিলাম। তার পর বিধ্বস্ত বাসটা থেকে কোনও রকমে বেরিয়ে আসি। রক্তে তখন চারদিক ভেসে যাচ্ছে। স্থানীয় মানুষ এগিয়ে এসে উদ্ধারকাজে হাত লাগায়। ভাবছি, সামনে বসলে কী পরিণতি হত আমার! ভগবান জোর বাঁচিয়ে দিয়েছেন।" তিনি জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বেলিয়াতোড় থানা ছাড়াও পুলিশ আসে সোনামুখী থানা থেকে। উৎসুক জনতাকে আটকাতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসের চারদিকে ব্যারিকেড করে দেয় পুলিশ। এর পর স্থানীয় মানুষের সাহায্যে পুলিশই জখমদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য আনা হয়েছে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে। যাঁরা গুরুতর জখম হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসা চলছে বাঁকুড়া হাসপাতালে।