সোনাগাছির যৌনকর্মীদের ত্রাণ সামগ্রী বিলি মন্ত্রী শশী পাঁজার
সোনাগাছির যৌনকর্মীদের ত্রাণ সামগ্রী বিলি মন্ত্রী শশী পাঁজার
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাচতে যখন কোটা রাজ্য তথা দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন, এক প্রকার মানুষ গৃহবন্দি, রোজগারে টান পড়েছে সকল স্তরের মানুষের ভেতর এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সোনাগাছির যৌনকর্মীদের হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল ডাল আলু তুলে দিতে এগিয়ে এল দুর্বার মহিলা সমিতি। তাদের উদ্যোগে আজ দেড় হাজার জনের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন দুর্বার এর কর্ণধাররা ও এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।
উল্লেখ্য, রাতের শহর যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখন ব্যস্ততা বাড়ে চিত্তরঞ্জন এভিনিউ, দুর্গাচরণ মিত্র স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণির অলিগলিতে। এই অংশগুলোই একসঙ্গে সোনাগাছি নামে পরিচিত। রাতের অন্ধকারের মধ্যে আলোর রোশনাই সেজে ওঠে গোটা সোনাগাছি চত্বর। কিন্তু সাম্প্রতিক কর্নার থাবায় সবই যেন শ্মশান। কোন লোকজনের আনাগোনা নেই সেখানে। নেই বাড়তি হৈ-হুল্লোড়ও। কর্নার আতঙ্ক গ্রাস করেছে গোটা সোনাগাছি ঘরে ঘরে। একদিকে যেমন অভাবের তাড়না, অন্যদিকে খদ্দেরের আকাল সব মিলিয়ে দুর্ভোগের দিন কাটছে সোনাগাছি।
এই এলাকায় ১০ থেকে ১২ হাজার যৌণ কর্মীর বাস। প্রতিদিন এই এলাকায় হাজার হাজার খদ্দেরের যাতায়াত রয়েছে। কিন্তু দোলের পর থেকে সোনাগাছিতে খদ্দেরের সংখ্যা তলানিতে ঠেকেছে। করোনা আতঙ্কে সোনাগাছি মুখো হচ্ছে না অধিকাংশ খদ্দের।
জানা গিয়েছে, সোনাগাছিতে প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার খদ্দেরের যাতায়াত রয়েছে। কিন্তু দোলের পর থেকেই সেই সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি কমে গিয়েছে। খদ্দের কমে যাওয়ায় পরিবারকে টাকা পাঠানোর পরিমাণ কমে গিয়েছে। খদ্দের না থাকায় একদিকে যেমন আয় কমেছে যৌন কর্মীদের। অন্যদিকে, আয় কমেছে দালালদেরও। এমনিতেই রূপান্তরকামী যৌন কর্মীর আয় কম। তার ওপর এই অবস্থায় অথৈ জলে পড়েছেন তারা। এমন চলতে থাকলে না খেতে পেয়ে মরতে হবে ১২ হাজার যৌন কর্মী ও তার পরিবারকে। তাই করোনা আতঙ্কে দিন কাটছে সোনাগাছির।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনাগাছিতে থাকা যৌনকর্মীদের বাড়িভাড়া ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। কারও আবার ২০ থেকে ৩০ হাজারের। এর বেশিও রয়েছে অনেকের। করোনার পর থেকে কাজ না থাকায় বাড়ি ভাড়া ও অন্নসংস্থান সবই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অনেককে দেশের বাড়িতে টাকা পাঠাতে হয়। সেই টাকায় চলে পরিবার।