উত্তাল বিশ্বভারতী! সমস্যার সমাধানে আজব সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের, মানতে নারাজ ছাত্রছাত্রীরা
প্রায় ২৪ ঘন্টা ঘেরাও আন্দোলনে পথে বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা। রাতভর ঘেরাও উপাচার্য, শিক্ষক এবং অন্য কর্মীরা।
প্রায় ২৪ ঘন্টা ঘেরাও আন্দোলনে পথে বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা। রাতভর ঘেরাও উপাচার্য, শিক্ষক এবং অন্য কর্মীরা। ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। সূত্রের খবর অনুযায়ী দুপক্ষই অনড় থাকায় সমাধান সূত্র মেলেনি। অন্যদিকে আন্দোলনের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সেমেস্টার পরীক্ষা।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে আন্দোলন
মঙ্গলবার দুপুর থেকে ঘেরাও আন্দোলন শুরু করেছেন ছাত্রছাত্রীরা। এখনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি বলেই জানা গিয়েছে। ভিতরে উপাচার্য ছাড়াও বিভিন্ন ভবনের অধ্যক্ষ এবং অধ্যাপকরা আটকে রয়েছেন। আর বাইরে পোস্টার লেখার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা।
কর্তৃপক্ষের আজব সিদ্ধান্ত
সূত্রের খবর অনুযায়ী ফি বৃদ্ধি নিয়ে কিছু পিছু হটেছে কর্তৃপক্ষ। যাঁরা ৫০০ টাকার পরিবর্তে ১০০০ টাকা দিয়েছিল, অ্যাডমিশনের সময় ৫০০ টাকা অ্যাডজাস্ট করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও প্রশ্ন উঠছে আবেদনকারীর সংখ্যা প্রায় ১৭ হাজার। যাঁরা অ্যাডমিশন নেবেন, তাঁদের টাকা নয়, অ্যাডজাস্ট করে দেওয়া হবে, বাকিদের ক্ষেত্রে কী হবে, উঠছে প্রশ্ন।
ছাত্রছাত্রীদের নিগ্রহের অভিযোগ
আন্দোলনরত এক ছাত্রী জানিয়েছে, মঙ্গলবার উপাচার্যের আমন্ত্রণী সভায় তারা গিয়েছিলেন। কিন্তু উপাচার্য ছাত্রছাত্রীদের দাবি মানতে রাজি হননি। এদিন সকালে অধ্যাপকরা আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের ওপর দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। নিরাপত্তারক্ষীরা ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলা চালায় বলেও অভিযোগ।
|
উপাচার্যের দাবি
উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেছেন, মঙ্গলবার থেকে ছাত্রছাত্রীরা অ্যাডমিশন ফর্মের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করছেন। এক শ্রেণির ছাত্রছাত্রী উপাচার্য এবং অন্য অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের ঘেরাও করে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। প্রায় ২০০ শিক্ষক এবং কর্মী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতর আটকে রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। মঙ্গলবার ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পাঁচ ঘন্টা আলোচনা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে কর্তৃপক্ষের তরফে অ্যাডমিশন ফর্মের মূল্য বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বান সরকার বলেছেন, আত্ম নির্ভরশীল হওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
(ছবি সৌজন্য: এএনআই)